প্রতিমন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে হজে পাঠানোর নামে প্রতারণা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) পরিচয় দিয়ে হজে পাঠানোর নামে প্রতারণা করছে একটি চক্র। চারঘাট উপজেলার মাধ্যমিক স্কুলের মাওলানা শিক্ষক ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের ফোন করে রেজিস্ট্রেশনের নামে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই প্রতারক চক্র।
এ ঘটনায় প্রতারিত হয়ে চারঘাট মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা।
প্রতারণার শিকার শিক্ষকেরা জানান, উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক স্কুলের মাওলানা শিক্ষক ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের কাছে ০১৯০৫৮৮৫৭৪২ নম্বর থেকে কল দিয়ে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি নিজেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) পরিচয় দেন। তিনি শিক্ষকদের সরকারি খরচে হজে পাঠানোর আশ্বাস দেন। এ জন্য ৭ হাজার ৬২০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করতে বলেন। এতে অনেক শিক্ষক খোঁজখবর না নিয়ে টাকা পাঠিয়ে প্রতারণার শিকার হন। অনেকের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে এপিএস সিরাজুল ইসলাম ও প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সময় তাঁরা এটি ভিত্তিহীন এবং প্রতারণা বলে শিক্ষকদের জানান।
উপজেলা সদরের চারঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাওলানা শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে সরকারি খরচে হজে পাঠানোর কথা বলে ওই প্রতারক। আমাকে বলে, উপজেলা থেকে ৬ জনকে সিলেক্ট করা হয়েছে তার মধ্যে আপনি একজন। এ জন্য রেজিস্ট্রেশন বাবদ ৭ হাজার ৬২০ টাকা লাগবে। টাকা পাঠানোর পর আমার স্ত্রীকেও হজের সুযোগ দিতে চেয়ে আরও ৭ হাজার ৬২০ টাকা বিকাশে নেয়। পরে শুনি এটা প্রতারক চক্র। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
উপজেলার মুক্তারপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকেও একটি নাম্বার থেকে ফোন করে সরকারি খরচে হজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানায়। এ জন্য বিকাশে রেজিস্ট্রেশন ফি পাঠাতে বলে। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হলে খোঁজখবর নিয়ে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করিনি।
এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, হজের নামে মোবাইল প্রতারণা করা নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোবাইল নম্বরটি কোথাকার এবং কে ব্যবহার করছে তা জানার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সিরাজুল ইসলাম বলেন, রেজিস্ট্রেশনের টাকা নিয়ে হজে পাঠানোর কথা বলার বিষয়টি একটি মোবাইল প্রতারণা। শিক্ষকেরা বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে আমি সবাইকে সতর্ক করেছি। কেউ যেন এ প্রতারণার শিকার না হন।


প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২২ | সময়: ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ