বাঘায় কৃষকের জন্য বৃষ্টির প্রার্থনা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: জলবায়ুর কারণে আমাদের দেশে পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটছে। পাহাড়-আর সমুদ্রের মাঝখানে বাংলাদেশ। আমরা প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকি। যার কুফল বোধ করছি এ বছর। এবার সোনালী আঁশ পাটের দাম ভাল পেয়েও বৃষ্টির অভাবে পাট জাগ দিতে না পেরে হতাশায় ভুগছেন কৃষক।
রবিবার বিকেলে বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমনটি বক্তব্য দিয়ে ছিলেন চারঘাট-বাঘার সাংসদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ জন্য তিনি সৃষ্টিকর্তার নিকট বৃষ্টির জন্য পার্থনা করেছিলেন। অবশেষে মিললো তার প্রার্থীত বৃষ্টি।
কৃষি প্রধান অঞ্চল হিসাবে পরিচিত রাজশাহীর বাঘার পাট চাষিরা এ বছর পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছিল। অনেকেই মাছের ক্ষতি পূরণ দিয়ে পুকুর লিজ নিচ্ছিল। যাতে করে তারা সময় মতো পাট জাগ দিতে পারে। তবে এক রাতের আকষ্মিক বৃষ্টিতে সকল কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এখন গ্রামের যে-দিকেই আপনি তাকান না কেন, সে দিকেই দেখবেন থৈ-থৈ পানি। রবিবার হিজরি নববর্ষের প্রথম রাতে অবিরাম বৃষ্টিতে টল-মল গ্রামের খাল-বিল ও ডোবা-নালা।
সরেজমিন বাঘার সমতল এলাকা ঘুরে রবিবারের আগ পর্যন্ত দেখা গেছে পাট চাষীরা তাদের উৎপাদিত পাট জাগ দেয়া নিয়ে চরম বিপাকে ছিলেন। এর প্রধান কারণ সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আশ-পাশের কোন ডোবা-নালায় পানি জমে ছিলোনা। অথচ বর্ষা মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে।
কৃষকরা বলেন, প্রতি বছর এ মৌসুমে তারা পাট জাগ দিয়ে সেই পাট হাটে-বাজারে বিক্রী করেন। কিন্তু এ বছর বর্ষা মৌসুমের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। অথচ বৃষ্টি না হওয়ায় নিচু জমি কিংবা আশ পাশের কোন ডোবা-নালায় পানি জমা হয়নি। তাই অধিকাংশ কৃষক পাট কাটা থেকে বিরত ছিলেন। আবার যদিওবা দু’একজন কেটেছেন, তারা আগাম দাম পাওয়ার আসায় গাড়িতে করে সেই পাট নদীতে নিয়ে গেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত পানির সংকট দুর হয়েছে রবিবার রাতে একটানা বৃষ্টি কারনে। এখন গ্রামের নিচু প্রায় সকল জায়গাতে পানি জমে আছে।
সার্বিক বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, পাট চাষের জন্য যে ধরনের মাটির প্রয়োজন তা বাঘাতে রয়েছে। এ কারণে এ উপজেলায় অন্যান্য আবাদের চেয়ে পাট চাষ অনেক বেশি হয়। কিন্তু এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় আশে পাশের ডোবা-নালায় কোন পানি জমা ছিলো না।
এ কারণে কৃষকরা পানির অভাবে পাট জাগ দিকে হিম-শিম খাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আল্লাহপাক এক রাতের বৃষ্টির রহমত দিলেন। ফলে কৃষকের মুখে ফুটলো হাসি।


প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২২ | সময়: ৬:০০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ