বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৪ সালের চেয়ে ২০২৪ আসরে অনেক বেশি ভালো করা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদের।
দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, ফারজানা হকদের। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টির ওই আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা দলটির বেশির ভাগ সদস্য এখনও জাতীয় দলের অংশ। সেই টুর্নামেন্টের পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নিয়মিতদের একজন হয়ে উঠেছেন নিগার সুলতানা। এবার দেশের মাটিতে কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে খেলার হাতছানিতে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
বার্মিংহামে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভার শেষ দিন মঙ্গলবার মেয়েদের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোর স্বাগতিক দেশের নাম চূড়ান্ত করেছে আইসিসি। ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের চক্রে মেয়েদের চার বড় টুর্নামেন্টের তিনটিতেই স্বাগতিক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে উপমহাদেশের দেশকে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে বাংলাদেশে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় ১০ দলের টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে ২৩টি।
বাংলাদেশে সবশেষ কোনো বিশ্বকাপ হয়েছিল ২০১৪ সালে। সে সময় ছেলে ও মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল একসঙ্গেই। এর পরের বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় কিপার-ব্যাটার নিগারের। আইসিসির কাছ থেকে সুখবর পাওয়ার পর তিনি বিভোর দেশের মাটিতে বিশ্বমঞ্চে খেলতে।
“খবরটা শোনার পর আমি খুব রোমাঞ্চিত। কারণ নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার মতো সৌভাগ্য সবার হয় না। খেলার সুযোগ পেলে আমাদের জন্য বড় একটা বিষয় হবে। নিজের দেশে একটা বাড়তি সুবিধা থাকে, দর্শকদের সমর্থন থাকে, যা দলকে উজ্জীবিত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।” লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রুমানাও ভাসছেন খুশিতে। দুই বছরে দলকে আরও গুছিয়ে নিয়ে দেশের মাটিতে ভালো কিছু করার ব্যাপারেই আশাবাদী তিনি।
“নিজেদের মাটিতে খেললে সুযোগটা অন্য সব জায়গার চেয়ে বেশি থাকে। এখানে আমরা নিয়মিত খেলার কারণে উইকেট ও কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা পেতে পারি। বিশ্বকাপের আগে আমরা যদি প্রচুর ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই, আমাদের জন্য এটা দারুণ ব্যাপার হবে। আমরা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি ম্যাচ খেলি। দলটাও আগের চেয়ে অনেক ভালো। খেলোয়াড়রা দিন দিন অনেক উন্নতি করছে। আমি মনে করি, ১০ বছর আগের চেয়ে এবার আমাদের অনেক ভালো হবে। কিছু প্রাপ্তি আমরা যোগ করতে পারব।”
এরই মধ্যে মেয়েদের হাত ধরে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা এসেছে বাংলাদেশের হাতে। শক্তি ও অভিজ্ঞতায় বেশ এগিয়ে থাকা ভারতকে দুইবার হারিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় সালমা-জাহানারাদের দল। সব কিছু পক্ষে থাকলে বিশ্বমঞ্চেও চমক জাগানিয়া কিছু করা সম্ভব বলে বিশ্বাস রুমানার।
“বড় কিছু অর্জন করতে গেলে আমাদের অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। কিছুদিন পর থেকেই আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচি শুরু হবে। দম ফেলার সময়ও পাব না। সামনেই (দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয়) আগামী বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব আছে।” “প্রচুর ম্যাচ খেলতে পারলে নিজেদের ভূলত্রুটিগুলো আমরা জনতে পারব। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারব। আমরা আইসিসির কাছ থেকে অনেক ম্যাচ পেয়েছি। যার কারণে ম্যাচ নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই, আমরা অনেক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। আর যেহেতু ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, আশা করি বিসিবিও আমাদের এখানে অনেক ম্যাচ আয়োজন করবে। যেসব আমাদের বিশ্বকাপে কাজে দেবে।”