বাঘায় নিখোঁজের তিন দিন পর নদী থেকে স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপর্টার,বাঘা: রাজশাহীর বাঘায় নিখোঁজের তিনদিন পর পদ্মা নদী থেকে রাজিব নামে এক স্কুল ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার কলিগ্রাম এলাকার পদ্মা নদী থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। অনেকেই ধারনা করছেন ,রাজিব দামি মোবাইল ব্যবহার করতো। এই মোবাইলটিই তার জীবনের কাল হতে পারে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চকছাতারী গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রাজিব হোসেন (১৫) বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। তাকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ করে পাওয়া পায়নি। ওইদিন তার বোন চায়না খাতুন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। এই ডাইরী করার তিনদিন পর শুক্রবার কলিগ্রামের পদ্মা নদী থেকে রাজিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজিব হোসেনের পিতা আবদুর রাজ্জাক একজন শ্রমিক এবং মা’ আফরোজা বেগম ঢাকার একটি গার্মেন্সে চাকুরি করেন। রাজিব তার নানি সাথে নিজ বাড়িতে বসবাস করতো। সে বাঘা ইসালামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে পড়া-লেখা করে। তার ইচ্ছে পুরনের জন্য অনেক কষ্ট করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা দিয়ে একটি টাস ফোন কিনে দিয়েছিল তার মা।

রাজিবের বোন চায়না বেগম বলেন, আমার ছোট ভাই কিছুদনি আগে এনডোয়েড রেডমি নামে প্রায় ৪০ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করে। আমার ধারনা , এই ফোনের জন্য কে-বা কাহারা আমার ভাইকে খুন করে পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়েছে।

এ বিষয়ে রাজিবের নানু সুরাজান বেগম বলেন, বাড়িতে কেউ থাকেনা। আমি মেয়ের বাড়ি থাকি আর নাতি রাজিবকে দেখাশুনা করি। নাতি লেখা পড়াতে ভাল। কিন্তু ফোন কেনার পর সে মাঝে মধ্যে তার বন্ধুদের সাথে বিকেল হলেই এখানে সেখানে ঘুরতে যায়। অন্যদিনের মতো বুধবার দুপুরেরও খাবার খাওয়ার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর ফিরে আসেনি।

এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তার গলা এবং মুখের মধ্যে দঁড়ি ছিল । আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি, তাকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে।


প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২ | সময়: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ | সানশাইন