কলেজ শিক্ষকের কবজি কাটল সন্ত্রাসীরা

সানশাইন ডেস্ক: কুষ্টিয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তোফাজ্জেল হোসেন (৪০) নামের এক কলেজ শিক্ষকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার বংশিতলা ব্রিজের ওপর এই ঘটনা ঘটে। আহত ওই কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহাম্মেদ ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কলেজের কাজ শেষ করে দুপুরের দিকে মোটরসাইকেলে কুষ্টিয়ার দিকে রওনা দেন তোফাজ্জেল। বংশিতলা ব্রিজে পৌঁছলে ১৫-১৬ জন যুবক তার পথরোধ করে অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই তোফাজ্জেলের শরীর থেকে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার চিকিৎসা চলছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে তোফাজ্জেলের ছেলে হাসিব বলেন, আমাদের এলাকায় একটি গ্রুপের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। আমরা জানতে পেরেছিলাম তারা আমাদের ওপর সুযোগ পেলেই হামলা চালাবে। ওরাই আমার বাবাকে একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর শালঘর মধুয়া গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, দুই গ্রুপের দীর্ঘদিনে বিবাদের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এবিষয়ে পরে জানানো হবে, এখন অভিযানে আছি।


প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ | সময়: ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর