সর্বশেষ সংবাদ :

ভেজাল গুড় প্রস্তুকারীদের ধরতে মাঠে নামছে প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে খেজুরের ভেজাল গুড় বাজারজাত বন্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে স্থানীয় প্রশাসন। এনিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় বিস্তারিত আলোচানা হয়েছে। আলোচনা শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন ভেজাল গুড় প্রস্তুতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে সম্মত হয়েছেন।
রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাটে উৎপাদিত খেজুরের গুড় স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি করা হয়। শীতের সময় এই গুড়ের অর্থনীতি শত কোটিতে দাড়ায়। তবে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে গুড়ে খেজুরের রসের পরিবর্তে চিনি মেশানো হচ্ছে। এতে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন ও স্বাস্থের দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সূত্র মতে, রবিবার রাজশাহী জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ভেজাল গুড় নিয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি সভায় উপস্থিত সকলের কাছে জানতে চান ভেজল গুড় উৎপাদন বন্ধে কী করা যেতে পারে। সকলের মতামতের ভিত্তিতে জানানো হয়, বাঘা ও চারঘাটের যে কয়টি গুড়ের আড়ত আছে তাদেরকে তদারকিতে রাখা হবে। তারা কোথা থেকে এই গুড় আনছে, এখন থেকে তা যাচাই বাছাই করা হবে। একই সাথে গুড় উৎপাদনকারীদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
এদিকে বাঘা ও চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান ও ইউএনওরা জানান, উপজেলা দুটিতে গুড়ের সিজেন উপলক্ষে চিনির আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ট্রকে করে টনকে টন চিনি ঢুকছে। এই চিনির ক্রেতা কারা তা চিহ্নিত করতে হবে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, খেজুরের গুড় রাজশাহীর অন্যতম অর্থকরী পণ্য। এই গুড় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধ করা গেলে একদিকে যেমন স্থানীয় উৎপাদকরা লাভবান হবেন, তেমনি ক্রেতারাও স্বাস্থ ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবেন। রাজশাহীর গুড়ের সুনার ধরে রাখার দায়িত্ব স্থানীয় উৎপাদকদের।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ | সময়: ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ