সর্বশেষ সংবাদ :

হত্যা মামলা সচলের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার : অজ্ঞাত কারনে আদালতে বিচারাধীন স্থবির হত্যা মামলা সচলসহ প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে রাজশাহীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন এক ভূক্তভোগী পরিবার। গতকাল রোববার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন এ দাবি জানান রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহরাপুর গ্রামের জাহিদ হাসান। তিনি অভিযোগ করেন এ হত্যার সাথে পুলিশের দুই এসআইসহ আরও অনেকেই জড়িত থাকায় প্রশাসনের কোন উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপের কারণে মামলাটি স্থবির হয়ে আটকে আছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার কোদালকাটি গ্রামের মো: ফজলুল হক এর পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম এর হত্যাকারীদের গোদাগাড়ী থানা হেফাজতে নেওয়ার পর রাজশাহী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৫ এ প্রেরণ করে। কিন্তু গত ২০২০ সালের ৩০ আগষ্ট থেকে মামলাটি পড়ে আছে। যার কোন অগ্রগতি নেই। তিনি হত্যা মামলার বাদি মোসাঃ রোমেশা বেগম মামলা এজহারের আরজি তুলে ধরে বলেন, “গত ২০২০ সালের ২১ মার্চ বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় মামলার আসামী মোঃ শরীফুল ইসলাম (৩২), মোঃ জামাল উদ্দীন (৩২) সহ আরও ৩/৪ জন চা খাওয়ার কথা বলে মোঃ রফিকুল ইসলামকে এলাকার একটি দোকানে নিয়ে যায়। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে আসামি শরিফুল ইসলাম জানায় রফিকুলকে চর কোদালকাটি ঢ্যাঙ্গাপাড়া গ্রামের নৌকার মাঝি জামাল উদ্দীন এর সাথে একটা কাজে পাঠাইয়াছি, রফিকুল সময় মত বাড়ি যাবে। পরদিন সকালে রফিকুল এর মোবাইলে ফোন দিলে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ জানায় দেওয়ান পাড়া সিড়িস্থ জহুরুল ইসলামের বাড়ি দক্ষিণে নদীর ধারে একটি লাশ পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে দেখতে পায় লাশের বাম চোখের উপরে কপালের উপর কাটা জখম, নাকে-মুখে, দাত ও ঠোটে রক্ত মাখা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধুলো-বালি লেগে আছে। আমার স্বামী রফিকুল ইসলাম এর ডান হাতের কব্জি বাকানো অবস্থায় দেখতে পাই। পরে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পোস্ট-মর্টেমের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুলিশ বুরো ইনভেস্টিগেশন এর নিকট তদন্তের ভার হস্তান্তর করলে মোবাইল কল লিস্টে গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর গ্রামের রেজাউলের এর পুত্র ইসহাকের সংশ্লিষ্টতা দেখতে পায়। পরে গত গত ২০২০ সালের ৩০ আগষ্ট মোঃ ইসহাক আলী ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে এস.আই. মিজান ও এস.আই. মান্নান এর জড়িত থাকার কথা বলে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট আদালতে জবানবন্দী দেয়। এঘটনার জন্য পুলিশের এই দুই এসআই তাকে দুই লক্ষ টাকাও দেবার চুক্তি করেছিলো বলেও জবানবন্দীতে জানায়। সংবাদ সম্মেলনে পরিবারটি মামলাটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে প্রকৃত দোষীদের বের করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার জন্য গোয়েন্দা সংস্থা ও বিজ্ঞ আদালতের নিকট আবেদন জানান।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ | সময়: ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ