ব্যালে বালিকা নওগাঁর ইরা

ঢাকা অফিস: ফ্রিল্যান্সার জয়িতার ক্যামেরায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে শূন্যে ভাসছে ইরা। তার এসব বেশকিছু ছবি এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। এই ছবিগুলোর মডেল নৃত্য শিল্পী “ইরা”। জীম, স্কেটিং, টেনিস ও ক্রিকেটে সমান পারদর্শী ইরা মূলত ব্যালে নাচের জন্যই পরিচিতি পাচ্ছেন নেট দুনিয়ায়। মফস্বল শহরে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে পড়ালেখা ও অনুশীলন করে সাফল্য এনেছেন একের পর এক। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। নওগাঁর মেয়ে মুবাশশীরা কামাল ইরার জন্মস্থান নওগাঁ সদর উপজেলায়। সেখানেই তার পড়াশুনা-অনুশীলন ও বেড়ে উঠা। ইরার বাবার নাম আবু হায়াত মোহম্মদ কামাল এবং মায়ের নাম ফাহমিদা কামাল। ইরা নওগাঁ সীমান্ত পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসিতে পেয়েছেন জিপিএ-৫। এখন দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন নওগাঁ সরকারী কলেজে। চার বোনের মধ্যে ইরা তৃতীয়। বড় দুই বোন এবং ছোট বোন আলাদা প্রতিভার অধিকারী। মুবাশশীরা কামাল ইরা জানান, এটি একটি ইতালীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের ধরন যা করুণা এবং নির্ভুলতার দাবি করে। আন্দোলনের মাধ্যমে অভিব্যক্তি তৈরি করার জন্য জটিল, প্রবাহিত নিদর্শনগুলিতে সেট করা আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ এবং অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে। নাচের এই ধরনকে বলে ব্যালে। ব্যালে-জিমন্যাস্টিকস মিলিয়ে পারফর্ম করেন তিনি। ইরা  বলেন, “নাচ আমার পছন্দের একটি অনুশীলন। ২০১৭ সালে ইউটিউব দেখে বাসাতেই এই ব্যালে নাচ শুরু করি। প্রথম দিকে অনেক কঠিন মনে হলেও এখন সবগুলো স্টেপ প্রায় আয়ত্ত হয়ে গেছে। নাচ নিয়ে দেশে এবং দেশের বাহিরে পড়াশুনা করার ইচ্ছে আছে। জানিনা আল্লাহ আমার কপালে কি রেখেছেন।”  ইরা’র মা ফাহমিদা কামাল বলেন, “মেয়ের নাচের প্রথম হাতেখড়ি নওগাঁ জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির শিক্ষক সুলতান মাহমুদের কাছে। এরপর ঢাকায় ভারতনাট্যমে নাচ শিখেছে। ২০২১ সাল থেকে ঢাকার সাধনার সঙ্গে কাজ করছে ইরা। প্রথম দিকে পরিবারের সহযোগিতা তেমন একটা না থাকলেও এখন সকলেই নাচের বিষয়ে সহযোগিতা করছে।” ইরার বাবা আবু হায়াত মোহম্মদ কামাল বলেন, “আমি চাই আমার মেয়ে ইরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নাচে ভালো পারফর্ম করে দেশের সুনাম অর্জনের পাশাপাশি ভালো লেখাপড়া করে ভবিষ্যতে যেন বিসিএস ক্যাডার হয়।”


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ | সময়: ২:১৭ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ