খসড়া না পড়েই বিএনপির মন্তব্য ‘না’ বলা বাতিকের প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্য তাদের রাজনীতির অন্তঃসারশূন্যতা এবং সবকিছুতে ‘না’ বলার বাতিকেরই প্রমাণ। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আইন প্রস্তুত করতে আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে, মন্ত্রিসভা সেই আইনের খসড়া  অনুমোদন করেছে। আমাদের সংবিধানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা বলা আছে। কিন্তু ৫০ বছরেও সেই আইন হয়নি। রাষ্ট্রপতি গত কিছু দিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে  যে সংলাপ করেছেন, সেখানে বেশিরভাগ দলই একটি আইন প্রণয়নের কথা বলেছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়।’ তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সেখানে তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে নজরুল ইসলাম খান সাহেব আইনের খসড়াটি পড়েননি। তাদের দলের যে নেতারা সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যটি তৈরি করে দিয়েছেন, তারাও পড়েননি। না পড়েই নজরুল ইসলাম খান সাহেব বলেছেন, খসড়ায় কোনও বেসরকারি লোক বা কোনও আইনজ্ঞকে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ আইনের খসড়ায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনও ব্যক্তি যিনি ২০ বছর ধরে সরকারি কিংবা বিচার বিভাগীয় পদে বা আধা-সরকারি কিংবা বেসরকারি পদে কাজ করেছেন তাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, একই সংবাদ সম্মেলনে আবার নজরুল ইসলাম খান সাহেব বলেছেন, এই সরকারের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনও নির্বাচনে যাবেন না। অর্থাৎ নির্বাচন যেভাবেই হোক তারা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। কেউ যখন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকে তখন যেকোনও ভালো উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। বিএনপির সবকিছুতেই যে না বলার বাতিক, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। লবিস্ট ফার্ম  নিয়ে একটি দৈনিকে প্রকাশিত কলামের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় সংবাদ বিশ্লেষণের নামে বিএনপিকে রক্ষা করার জন্য এটি ছাপানো হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। দেশের রফতানি, ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন সরকার পিআর ফার্মের মাধ্যমে লবিং করে থাকে, বাংলাদেশ সরকারও করে। কিন্তু বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ | সময়: ৬:৫২ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর