সর্বশেষ সংবাদ :

নাসিক নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক কম হয়েছে, সংসদে বিএনপির হারুন

সদ্য অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে ‘বিতর্ক তুলনামূলক কম হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তবে নিজের নির্বাচনি এলাকা চাপাইনবাবগঞ্জে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়নি’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গতকালও নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন হয়েছে। তুলনামূলকভাবে এই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক কম হয়েছে। কিন্তু এখানে মাত্র ৫০ শতাংশ (প্রকৃত সংখ্যা ৫৬.২৫ শতাংশ) ভোট কাস্ট হয়েছে।’ সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অর্ডারে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারকে প্রায় ৬৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গত ৫ নভেম্বর ইউপি নির্বাচন ও ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমি গত অধিবেশনে আপনার (স্পিকার) মাধ্যমে আবেদন করেছিলাম অন্তত আমার জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, এর নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম, ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম।’ এরপরও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি অভিযোগ করে হারুন বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দিন ৫০ জন সাংবাদিকের সামনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। সেই দিন কোনও নির্বাচন হয়নি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। সেখানে ব্যাজ লাগানো, কেউ বলে ইভিএম মনিটর, কেউ টেকনিশিয়ান। আমি তার (সিইসি) সঙ্গে কথা বলেছিলাম, উনিও বলছিলেন- গোপন কক্ষেও লোক!’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ ও উৎসব একেবারেই নাই। প্রধানমন্ত্রী আলোচনা অংশগ্রহণ করবেন, প্রধানমন্ত্রী তিনবছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানে সুস্পষ্ট বলেছিলেন দুর্নীতিবাজ যে হউক ছাড় দেওয়া হবে না, এটা সুর্নিদিষ্টভাবে বলেছিলেন। দুর্নীতির সংজ্ঞা হচ্ছে অসাদুপায় অবলম্বন করা। আপনি অসাদুপায় অবলম্বন করে নির্বাচন করেন, নির্বাচিত হন, অসাদুপায় অবলম্বন করে নিয়োগ পান, ভর্তি হোন কিংবা যেকোন জায়গায় কর্ম বাস্তবায়ন করেন; এটা আমাদের ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময় সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হারুন সরকার দলীয় সংসদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এত অধৈর্য হইয়েন না প্লিজ। এত অধৈর্য হচ্ছেন কেন? যা সত্য, তা বলার অন্তত সুযোগ স্পিকার আমাকে দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করবো। আমার নির্বাচন এলাকার যে পৌর নির্বাচন হয়েছে। তার যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কিনা— এটি আমার দাবি। তা নাহলে কেন আমরা সংসদে থাকবো? আমি আপনার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাচ্ছি এই কারণে, যারা দায়িত্বে রয়েছেন। আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন কথা দিয়েছিলোতারপরও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।’ এসময় স্পিকার তার মাইক বন্ধ করে দেন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২২ | সময়: ২:২১ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ