সর্বশেষ সংবাদ :

রাজশাহীতে জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

সানশাইন ডেস্ক; ‘দুই মাসও লাগতে পারে, দুই বছরও লাগতে পারে, শর্তে রাজি থাকলে কাগজপত্র দিয়ে যান। সাথে চারশ টাকা দেন।’ রাজশাহীর সরদহ ইউনিয়নে জন্মনিবন্ধন করতে গেলে সেবাগ্রহীতাদের কথাগুলো বলছিলেন সেখানে কর্মরত উদ্যোক্তা নাহিদ পারভেজ তুষার।

এক ভুক্তভোগীর গোপনে ধারণ করা ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখা যায়।

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ইউনিক আইডি ও প্রোফাইল তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছে সরকার । শিক্ষার্থীদের অনেকের জন্মসনদ ও শিক্ষাগত সনদে দেওয়া তথ্যের মিল নেই। পিতা-মাতার নামের বানান ভুল। জন্ম তারিখের মিল নেই। এসব কারণে ইউনিয়ন পরিষদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপ বেড়েছে । এ সুযোগে অতিরিক্ত ইচ্ছেমতো অর্থ আদায় করেছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন সরদহ ইউনিয়নের মানুষরা। অথচ জন্মনিবন্ধনের জন্য সরদহ ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলার মডেল ইউনিয়ন এটি। সেখানে সনদ দিতে সরকারি ফির আট থেকে দশ গুন টাকা আদায় করা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে সনদ নিতে হচ্ছে ।

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ১০০ টাকা এবং জন্মতারিখ ব্যতীত পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংশোধনের পর সনদের কপি বিনা পয়সায় সরবরাহের কথাও বলা আছে ।

সেখানে সেবা নিতে আসা সে ইউনিয়নের এক কলেজছাত্র অভিযোগ করে বলে, ‘আমার বাবা-মা এবং আমার জন্ম সনদ সংশোধনের জন্য সরদহ ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিলাম। ইংরেজি সংশোধনের জন্য তারা আমার কাছ থেকে ৬০০ টাকা নিয়েছে। এ ছাড়া বাবা-মায়ের নাম ও জন্মতারিখের দুই জায়গায় ভুল থাকায় আরও ৩০০ টাকা নিয়েছে।

টাকার নেওয়ার পরও জন্মসনদ পেতে দুই বছর লাগবে এমন কথা বলার কথা স্বীকার করেছেন উদ্যোক্তা নাহিদ পারভেজ তুষার। নাহিদ বলেন, ‘আমি ফাজলামি করে এক বন্ধুকে বিষয়টি বলেছি। সেটা কেউ ভিডিও করবে বুঝতে পারিনি। তবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না।’

সরদহ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মহিউদ্দিন সামুন বলেন, ‘আমি অভিযোগের বিষয়টি শুনে উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে তাকে সতর্ক করেছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেবাপ্রার্থীরা যেন সনদ পায় সে জন্য ব্যবস্থা নিব ।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ | সময়: ৯:৩৯ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর