রাজশাহীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীতে তালাকপ্রাপ্ত এক স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ট এবং প্রাণ নিয়ে বেঁচে থাকার সংশয় প্রকাশ করেছেন এক স্বামী। এব্যাপারে বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগ থেকে ও বাদির কাছে থেকে জানা যায়, নগরীর রামচন্দ্রপুর কালু মিস্ত্রির মোড় এলাকায় মুরাদ আলীর ছেলে সুরাজ আলী প্রায় আঠার বছর পূর্বে নগরীর খরবোনা নদীর ধার এলাকার আলমের মেয়ে রেশমার সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সন্তানও রয়েছে। কিন্তু এক সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর এক সদস্যের সাথে স্ত্রী রেশমার পরকিয়া সর্ম্পক গড়ে ওঠে। শুধু তাই নয় তিনি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন।
এ নিয়ে রেশমাকে বহুবার বোঝানোর চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে প্রায় দুই বছর হলো ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক তাকে তালাক দেয়া হয়। তালাকের পর থেকে রেশমা তার আত্মীয়স্বজন ও গুণ্ডাবাহিণী দিয়ে সুরাজ আলীকে বহুবার প্রাণ নাশের ও হাত পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকী দিয়ে আসছে। এছাড়াও বাড়িতে থাকা দুইটি ফাঁকা চেক ছলনা করে ছেলেকে দিয়ে নিয়ে যেয়ে যায়। একটি ছিলো তাঁর টেইলার্স এর টেইলার্স কাটার মাস্টার মাসুদ এবং অপরটি ছিলো তার সঙ্গে ধার হিসেবে কাপড় জাতীয় পন্য ও অর্থ লেনদেনকারী ব্যবসায়ী সাইদুলের।
এই চেক নিয়ে গিয়ে চেক প্রদানকারীদের নিকট হতে দশ লাখ টাকা পাবে বলে ঐ দুই জনের নামে কোর্টে মিথ্যা মামলা করেছেন। যা চলমান। শুধু তাইনয় তার নিকট আসবাবপত্র ও অন্যান্য মালামাল পাবে মর্মে তার নামেও মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত তা খারিজ করে দেন। এ অবস্থায় ওই নারী দিশেহারা হয়ে আমাকে হেনস্তা ও মেরে ফেলার জন্য বার বার হামলা করার হুমকী দিচ্ছে।
এ নিয়ে আরএমপি বোয়ালিয়া মডেল থানায় রেশমা এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর একজন খরবোনা নদীর ধার এলাকার খালেক সরদারের ছেলে লুকু এর নামে চলতি মাসের ৫ তারিখ সাধারণ ডায়েরী করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ তৎপর হলে তারা এমন আচরণ করবে না সুরাজ জানান।
সুরাজ বলেন, পুলিশের নিকট অঙ্গিকার করার পরেও শনিবার রাত পৌনে ৩টার দিকে লুকু আবারও তার বািড়র সামনে আসে এবং বাড়ির সামনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাতে প্রথমে ঢিল ছুঁড়ে। পরে তা নামিয়ে তার ছিড়ে নিয়ে চলে যায়। যা সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়। সেইসাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আবারও প্রাণ নাশের হুমকী দেন লুকু। এনিয়ে তিনি রাতেই থানায় মোবাইলে কল করে জানান এবং সকালে আবারও তার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী রেশমা এবং লুকুল নামে বোয়লিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা এবং দোষিদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান সুরাজ। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান তিনি।
এ নিয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, এ নিয়ে চলতি মাসের ৫তারিখ একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন সুরাজ। তবে শনিবার সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গা এবং গালিগালাজ করার কারণে তাদের নামে আবার একটি অভিযোগ হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে উভয়ে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান এই পুলিশের কর্মকর্তা।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২১ | সময়: ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ