বাঘায় দুই বিদ্রোহীকে নিয়ে বিপাকে আ’লীগ

নুরুজ্জামান, বাঘা: দেশজুড়ে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে স্থানীয় সরকার পরিচালিত ইউপি নির্বাচন। ফলে দেশের রাজনীতি এখন নির্বাচনমুখী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিক থেকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে প্রার্থীদের দৌড়-ঝাপ শুরু হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে বিএনপির পদধারী আনেকেই স্বতন্ত্র পরিচয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকছেন এ নির্বাচনে।
অপরদিকে উপজেলার আড়ানীতে সুবিধা জনক অবস্থানে থাকলেও দু’টি ইউনিয়ন বাউসা এবং চকরাজাপুরে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিন ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বিদ্রোহী নুর মোহাম্মদ তুফান ও আজিজুল আযমকে মনোনয়র তুলে নেয়ানো যায় কি না।
স্থানীয়রা বলছেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে বাঘা উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন আড়ানী, বাউসা এবং চকরাজাপুরে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও নেতাকর্মীদের দৌড়-ঝাঁপ। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বস্তরে চলছে নির্বাচনী আমেজ।
তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বিএনপির কতিপয় নেতা ভোট করায় সাধারণ মানুষের কাছে সমালোচিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নে বিএনপি থেকে স্বতন্ত্র হিসাবে ভোট করছেন আড়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন। অপরদিকে বাউসা ইউনিয়নে ভোট করছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন পলাশ।
অপর একজন বিএনপি নেতা দুলাল হোসেন চকরাজাপুর ইউপি থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেও যাচাই-বাছাইয়ে তার প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়।
সরেজমিনে তিন ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জামাতে ইসলামী থেকেও প্রার্থী দেওয়া না হলেও তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারেন। অনেকেই মেধা, যোগ্যতা, সমাজ চেতনা, দূরদর্শিতা, দলের অবদানসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় আনার পর্যালোচনা করছেন। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চেয়ে আলোচনায় সরব ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা। এ তিন ইউনিয়নে আ’লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আড়ানীতে রফিকুল ইসলাম, বাউসায় শফিক রহমান এবং চকরাজাপুরে বাবলু দেওয়ান।
এ বিষয়ে বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, আমাদের দল থেকে ভোট করার নির্দেশনা নেই। যারা ভোট করবেন তারা নিজ দায়িত্বেই করবেন।
অন্যদিকে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। এখানে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার কষ্টে যদি কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হন এবং শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন, তাহলে চিরতরে দল থেকে ঐসব নেতাকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমার বিশ্বাস, বাঘায় তিন ইউনিয়নের মধ্যে যে দুটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিবেন।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২১ | সময়: ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর