সর্বশেষ সংবাদ :

পবার বড়গাছিতে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

পবা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পবা উপজেলার ৮নং বড়গাছি ইউনিয়নে বড়গাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বড়গাছি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কতৃপক্ষের উপরে।অভিযোগ উঠেছে বড়গাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা সূরভী রহমান, সহকারী শিক্ষক মোকলেসুর রহমান এবং ম্যানেজিং কমেটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বড়গাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি গাছ কেটে নিয়েছে। এ বিষয়ে বড়গাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: জেকের আলী সহ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ গাছ কাটা কাজে বাঁধা প্রদান করলে তারা গাছটি সেখানেই কর্তনরত অবস্থায় ফেলে রাখে।

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়গাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের হাইস্কুলের সীমানার ভিতরে অবস্থিত গাছ প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং ম্যানেজিং কমেটির সভাপতি মিলে এই গাছ টি কেটে নেয়। এত দামী একটি গাছ কাউকে কিছু না জানিয়েই তারা হঠাৎ সিদ্ধান্তে গাছটি কাটে। পরে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ আমরা বাঁধা দিলে তারা গাছ না নিয়ে যেয়ে গাছটি সেখানেই ফেলে রাখে। তারা দাবী করছে এই গাছ নাকি তাদের সীমানার ভিতরে, কিন্তু তারা জমির কোন কাগজ দেখাতে পারবে না। তারা ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমাদের সীমানার ভিতরের এই গাছটি কেন কাটলো আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই”।

 

 

 

 

এই বিষয়ে জানতে সরজমিনে বড়গাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে সেখানকার প্রধান শিক্ষিকা জানান এই গাছটি তাদের সীমানার ভিতরেই অবস্থিত। তিনি বলেন, ” বর্জ্যপাতে আমাদের বিদ্যালয়ের পিছনে অবস্থিত এই গাছটি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিলো। বিদ্যায়ের ভবনের উপরে এই গাছটি পড়লে বিদ্যালয়ের ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো সেই কারণেই আমরা এই গাছটি কাটার সিদ্ধান্ত নেই। ম্যানেজিং কমেটিকে বলে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই এই গাছটি কাটা হয়। আর আমাদের বিদ্যালয়ের এই জমির উপরেই এই গাছ, বিদ্যালয় সীমানার ভিতরেই আমাদের এই গাছ আমরা কেটেছি। তাই এখানে যারা অভিযোগ দিচ্ছে তারা না জেনে দিচ্ছে”।

 

 

 

 

 

 

এই বিষয়ে জানতে পবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিরিন মাহবুবা’র সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমাকে দুটি বিদ্যালয়ের কোন কতৃপক্ষই অবগত করেনি। তারা যদি এই বিষয়ে কোন অভিযোগ দেই তাহলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো। আর যেহেতু অভিযোগ টা আসছে গাছ কাটার। বিদ্যালয়ে গাছ কাটতে হলে আগে আমাদের ইউএনও স্যার বরারবর একটি অনুমতি নিতে হবে, তিনি যদি অনুমতি দেন তাহলেই তারা গাছ কাটতে পারবে”।

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৩ | সময়: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine