সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে বাদশা মিয়া (৪০) নামে এক প্রতিবন্ধীর জমি জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার জেয়াড়ী ইউনিয়নের আহম্মেদপুর এলাকার এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে থানা ও আদালতে অভিযোগ করেও রক্ষা হচ্ছেনা। প্রতিপক্ষ পুলিশ সদস্য হওয়ায় এমনটা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভিযোগ করেন বাদশা মিয়া। বাদশা মিয়া আহম্মেদপুর গ্রামের অপর প্রতিবন্ধী রাজা ইসলামের ছেলে।
প্রতিবন্ধী বাদশা মিয়া বলেন, আমার দাদা ১৯৮৮ সালে জাফর আলীর নিকট থেকে জমি কিনে পুর্বাংশে ভোগদখল করে আসছেন। এর আগে জাফর আলীর ১৯৮৩ সালে আবু বক্কর সিদ্দিকের নিকট বিক্রয় করেন। আবু বক্কর সিদ্দিকের সেই জমির পশ্চিমাংশ ভোগ দখলে ছিলেন। পরে আবু বক্কর সিদ্দিক আবুল হোসেন নামের এক ব্যাক্তির নিকট তা বিক্রি করেন। আবুল হোসেন সালেহা বেগমের নিকটে বিক্রয় করেন। সালেহা বেগম সেই জমি মিজানুর রহমান নামের পুলিশ সদস্যের নিকট গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বিক্রয় করেন। মিজানুর রহমান দলিল লেখার সময় পুর্বাংশে উল্লেখ করে রেজিস্ট্রি করে নেন। সেই জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জমি দখল করতে আসলে আমি বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দেই। তারা এসে বাড়ি নির্মাণ করতে নিশেধ করেন। কিছুদিন পরে আবার শুরু করেন। আমি আবার থানায় অভিযোগ করলে আর কোন প্রতিকার পাই না। পরে আদালতে নিশেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করি। আদালত সেই মোতাবেক নিশেধাজ্ঞা জাকি করে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশকে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়।
বড়াইগ্রাম থানার এএসআই আব্দুর রউফ ৭ জানুয়ারি সেটি জারি করেন এবং ২৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে বলেন। কিন্তু কয়েকদিন যাবত সেই নিশেধাজ্ঞা না মেনে মিজানুর রহমান আবারও ঘর নির্মাণের কাজ করছেন।
সালেহা বেগম বলেন, আমরা পশ্চিমাংশ এবং বাদশা মিয়া পূর্বাং দখলে রেখেছেন। কিন্তু কোন দলিলেই কাত উল্লেখ নেই। এবার রেজিস্ট্রির সময় মুহরী সেই কাত লিখে দিয়েছেন। পুলিশ পুর্বাংশ রেজিস্টি করে নিয়েছে আমরা বুঝতে পারিনি।
পুলিশ সদস্যে মিজানুর রহমান (৩৭) জরুরী সেবা ৯৯৯ এর কল সেন্টারে কর্মরত। তিনি উপজেলার আহম্মেদপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রব সুন্সির ছেলে ও বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক। তিনি বলেন, আমি যেভাবে জমি কিনেছি সেভাবেই বাড়ী করছি। তাই দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন।