সর্বশেষ সংবাদ :

আ’লীগে ব্যস্ততা, বিদ্রোহীর নিরব প্রচারণা, বিএনপিতে শঙ্কা, ক্লিন ইমেজে জামাত

নুরুজ্জামান, বাঘা :

আর মাত্র ৮ দিন পর আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বাঘা পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে শাহিনুর রহমান পিন্টুকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী করতে শক্ত অবস্থায় হাল ধরা-সহ ব্যস্ত সময় পার করছে বাঘা পৌর ও উপজেলা আওয়ামীলীগ। এ দিক থেকে ওয়ার্ড ভিত্তিক অফিস চালু না করে নিরবতার সাথে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট পার্থনা করছেন আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী।

 

অপর দিকে কেন্দ্র থেকে ভোট করতে বারণ করা সত্বেও অনেকটা শঙ্কার মধ্যদিয়ে সতন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে ভোট চাচ্ছেন বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন। এ দিক থেকে ক্লিন ইমেজে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে অপর এক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পৌর জামাতের আমীর প্রভাষক সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয় লোকজন জানান, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় বাঘা পৌরসভায় জোরে সোরে বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। চলছে জমজমাট প্রচার-প্রচারণা। ইতোমধ্যে পৌর এলাকায় ছেঁয়ে গেছে সকল মেয়র প্রার্থী সহ সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোষ্টার এবং মাইকিং। সকল প্রার্থীরায় ঘরোয়া বৈঠক ও পথসভার পাশাপাশি নিয়মিত মিছিল এবং গণসংযোগ করে চলেছেন।

 

 

তবে প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ এর প্রার্থী ও চলমান প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান সকল পেশার মানুষের সাথে কুশল বিনিময় ও ভোট প্রার্থনা করছেন। তাঁর সাথে স্ব-উদ্যোগেই নিজ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন বাঘা পৌর ও উপজেলা আ’লীগের নেত্রীবৃন্দ-সহ সকল সহযোগী সংগঠন। নির্বাচনকে উৎসব মনে করে রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনী ডামাডোল বাঁজতে শুরু করেছে বাঘা পৌর এলাকায়।

 

 

 

নৌকার মাঝি শাহিনুর রহমান তাঁর উন্নয়ন দৃশ্যমান উল্লেখ করে বলেন, মানুষ যদি আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন তাহলে আমি আমার সম্মানী ভাতার সমুদ্বয় অর্থ শিক্ষা খাতে ব্যায় করবো। আমি প্রতিবছর দু’জন ধর্মপ্রান গরিব মুসল্লীকে হজে পাঠাবো,বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করবো। আমি জনগণের সেবক হতে চাই। এই পৌরসভাকে একটি মডেল পৌর সভায় রুপ দিতে চাই। আমার কাছে গত ৫ টি বছর কেউ কোন দাবি নিয়ে গেলে আমি কাউকে খালি হাতে ফেরাইনি। আমি পৌর মেয়র হওয়ার জন্য এবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে সম্মানীত করেছেন। আমি এ সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে চাই।

 

অপর দিকে সাবেক মেয়র ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আক্কাছ আলী এবার দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে জগ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমেছেন। তিনি এখন পর্যন্ত কোন প্রকার মিছিল-কিংবা সোডাউন না করে নিরবতার সাথে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে গিয়ে ভোট পার্থনা করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক ভোটার ও তাঁর ঘনিষ্টজনরা।

 

এ দিকে বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের জন্য খুব দু:সময় যাচ্ছে। এ কারণে কেন্দ্র থেকে প্রতীক বরাদ্দ কিংবা নির্বাচন করার অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে ভোট প্রতিটা মানুষের নাগরিক অধিকার। আমি জেলা বিএনপি নেতাদের নির্দেশনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমার প্রতীক কম্পিউটার। আমি নির্বাচিত হলে বাঘা পৌরসভাকে মাদক এবং দুর্ণীতি মূক্ত একটি আধুনিক পৌরসভায় রুপান্তরিত করবো।

বিএনপির সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন ও জামায়াতে ইসলামীর বাঘা পৌর আমীর ও মোজাহার হোসেন

 

 

তবে এবারের ভোট সবচেয়ে ক্লিন ইমেজে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর বাঘা পৌর আমীর ও মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম। তার পক্ষে যে পরিমান ভোটার রয়েছে তার তিনগুন রয়েছে কর্মী বাহিনী। তিনি শতভাগ পাশ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বাঘা পৌর সভায় বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। এরপর ঐ সমস্ত মেয়র’রা এলাকায় উন্নয়নের চেয়ে জনগনের মাথায় একের পর এক, করের বোঝা চাপিয়েছেন। এ থেকে অনেক সাধারণ মানুষ খুব্ধ। তাঁরা নতুন মুখ দেখতে চাই। আমি সেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোট করতে নেমেছি।

সানশাইন / শামি

 


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২২ | সময়: ৬:০২ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine