বুধবার, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রীর আত্মহত্যার তিন দিন পর স্বামীও আত্মহত্যা করেছেন। গত তিন দিন আগে স্ত্রী সাগরিকা খাতুন (১৮) আত্মহত্যার পর আজ মঙ্গলবার সকালে স্বামী জারমান আলী (২০) আত্মহত্যা করেন। বাঘার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে এক আম বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় মাস আগে নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশারা-ঘোরলাজ গ্রামের আবদুল গাফফার আলীর মেয়ে সাগরিকার সাথে বিয়ে হয় বাঘা উপজেলার আড়ানী ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে জারমান আলীর। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভাল চলছিল। জারমান আলী শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ঝিনা বাজারে যায়। বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ করা। বাইরে থেকে অনেক ডাকাডাকি করা হয়, তবে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তিনি দেখতে পন সাগরিকা ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় পুলিশ জারমানের পিতা নওশাদ আলী ও ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করেন।
এ ঘটনায় সাগরিকার পিতা গাফফার আলী বাদি হয়ে জারমান আলী ও তার পিতা নওশাদ আলী, মা সানোয়ারা বেগম এবং ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত শনিবার জারমান আলীর বাবা নওশাদ আলী ও তার সৎ মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। এবং জারমান পলাতক ছিলেন।
স্ত্রীর হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ৪শ’ মিটার দুরে আম বাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জারমান। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান। তবে এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, কারণে অকারণে বিয়ের দেড় মাস না হতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন জারমান। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে জারমান আীল আত্মহত্যা করেছেন। মামলার ভয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন এমন ধারণা করছে থানা পুলিশ।