সর্বশেষ সংবাদ :

১৬ ম্যাচের সবগুলো জিতে লিগ শেষ করল আবাহনী

স্পোর্টস ডেস্ক: দুই ম্যাচ আগেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আবাহনীর। ক্লাবটির সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল অপরাজিত থাকার। জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় হারিয়েও ওই চ্যালেঞ্জে উতরে গেছে তারা। শেষ ম্যাচে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে আবাহনী।
সোমবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান করে তারা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ২৩ বল আগেই জয় পায় আবাহনী। ১৬ ম্যাচের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কোনোটিতে না হেরেই টুর্নামেন্ট শেষ করলো দলটি। ৯টিতে জিতে চারে শাইনপুকুর।
আগে ব্যাট করতে নামা শাইনপুকুর প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে ১৮ রানে। ১০ বলে ৮ রান করে আব্দুল রউশনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জিশান আলম। এরপর বড় জুটি গড়ে তোলেন খালিদ হাসান ও অমিত হাসান। দুজনের ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন রাকিবুল হাসান। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ বলে ৫৮ রান করা খালিদ হাসানকে আউট করেন তিনি।
এরপর অমিত হাসানকেও সাজঘরে ফেরত পাঠান রাকিবুল। ১১৬ বল খেলে ৭৭ রান করা এই ব্যাটারের ক্যাচ নিজের বলে নিজেই নেন তিনি। অমিতের বিদায়ের পর শাইনপুকুরের শেষদিকের ব্যাটাররা কেউই রান করতে পারেননি সেভাবে। ৪৯ বলে ৩৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন ইরফান শুক্কুর। রান তাড়ায় নেমে অনেকটা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়নি আবাহনী। তবে ক্লাবটির হয়ে একপ্রান্ত আগলে থেকে সেঞ্চুরি করে ফেলেন এনামুল হক বিজয়। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ১২০ বল খেলে ১১০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩৩ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন।
একই দিনে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৫৩ রানে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আগে ব্যাট করে ১৭৬ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১২৩ রানের বেশি করতে পারেনি গাজী গ্রুপ। ১৬ ম্যাচের ১২টিতে জিতে দুইয়ে থেকে লিগ শেষ করলো মোহামেডান। ৮ জয় নিয়ে সুপার লিগ খেলা দলগুলোর মধ্যে সবার শেষে গাজী গ্রুপ।


প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৪ | সময়: ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ