বাংলাদেশে বিশ্বকাপ : রোমাঞ্চের চেয়ে টেনশন বেশি কাজ করছে নিগারের

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৪ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। নিজেদের মাঠে ওই বিশ্বকাপ জয় দিয়ে শুরু করলেও গ্রুপ পর্ব পার করতে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। পরের চারটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থা আরও করুণ। একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। আরও একটি বিশ্বকাপ ঘরের মাঠে। তার আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি অতীত ব্যর্থতা পাল্টানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। যদিও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে নামার আগে টেনশন কাজ করছে তার।
রবিবার ঢাকার পাঁচ তারকা একটি হোটেলে নারী বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন ও সূচি ঘোষণা হয়। আসন্ন বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। এই গ্রুপে নিগারদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও কোয়ালিফায়ার ২ থেকে উঠে আসা দল। এই গ্রুপের ম্যাচগুলো হবে ঢাকায়।
৩ অক্টোবর বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে কোয়ালিফায়ার খেলে আসা দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর ৫ অক্টোবর শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে। ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ লড়বে উইন্ডিজের বিপক্ষে। আর ১২ অক্টোবর গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের আসরগুলোর ব্যর্থতা ভুলিয়ে দিতে মরিয়া বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক নিগার বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের যে আক্রমণটা আছে… আমরা যে সবশেষ বিশ্বকাপগুলো খেলেছি, ২০১৪ ছাড়া মনে হয় আর কোনও ম্যাচ জিততে পারিনি। তাই আমাদের মনোযোগ প্রথমেই থাকবে, আমরা যেন ম্যাচ জিততে পারি। সবাই যদি আমরা সেরাটা দিতে পারি, বাংলাদেশে বিশ্বকাপটা আমরা রঙিন করে রাখতে পারবো।’
নিগার আশার কথা শোনালেও বাংলাদেশের বর্তমান পারফরম্যান্স ভীষণ রকম হতাশাজনক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবগুলো ম্যাচ হারের পর ভারতের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচই হেরেছে স্বাগতিকরা। জ্যোতি সেই কথা মনে করিয়ে জানিয়েছেন, ‘ঘরের মাঠের দর্শক থাকবে। সবাই চাইবে, আমরা যেন ভালো করি। আর আমরা এখন একটু কঠিন সময় পার করছি। তাই অনেক সংশয়-সন্দেহ আসতে পারে। তবু বলবো যে, এই দলটা অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের হাতে যে সময়টা আছে, আমরা যদি প্রস্তুতি নিতে পারি, আরেকটু ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপে ভালো করা সম্ভব।’
বিশ্বকাপে খেলতে পুরো দলটিই উন্মুখ হয়ে আছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘প্রথমত দেখেন, এখনও কিন্তু নিশ্চিত না… যেহেতু ৪টা মাস এখনও বাকি। আমি নিজেও জানি না খেলতে পারবো কি না। যদি আমি সুস্থ থাকি, আল্লাহ রহমত করেন, কোনও সমস্যা যদি না থাকে, তাহলে হয়তো (খেলবো)। আমি যেটা বলতে চাই, প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের একটা স্বপ্ন থাকে, নিজ দেশে বিশ্বকাপ খেলার। সবাই খেলে, কিন্তু খুবই কমসংখ্যক ক্রিকেটার (নিজ দেশে বিশ্বকাপ) খেলতে পারে। আমি বলবো যে, এখন যারা দলে আছি কম-বেশি এখান থেকেই হয়তো সবাই (বিশ্বকাপে) খেলবে। তারা অনেক বেশি সৌভাগ্যবান যে, বাংলাদেশের মাটিতে একটা বড় টুর্নামেন্টে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। রোমাঞ্চের চেয়ে আমি বলবো যে, টেনশনও কাজ করছে।’


প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৪ | সময়: ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ