হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরবিদায় নিলেন মহাদেবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ভোদন

মহাদেবপুর প্রতিনিধি ঃ

হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরবিদায় নিলেন মহাদেবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব ভোদন।  রবিবার বিকেল ৪ টায় স্থানীয় ডাক বাংলা মাঠে তার জানাযায় মানুষের ঢল নামে। এ জানাযায় অংশ নেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি আব্দুল মালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ, থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন এবং আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সকল শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষ।

 

ডাক বাংলো মাঠে প্রথম জানাযা শেষে তার জন্মস্থান জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় দফার জানাযা ও দাফনের সময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-৩ মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের সাংসদ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী সৌরেন।

 

২০১৮ সালে প্রথম বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। ২০০৪ সাল থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি দীর্ঘ ৮ বছর মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্ব দেন।

নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন রাজশাহী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২০ এপ্রিল শনিবার রাত সারে ৯ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিক্ষিত এ আওয়ামী লীগ নেতার অকাল মৃত্যুর খবর পেয়ে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী এবং শুভাকাঙ্খীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

 

উল্লেখ্য গত ১২ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নওগাঁ-মহাদেবপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের তেরো মাইল নামক স্থানে তাকে বহনকারী জিপ গাড়িকে বালুবহনকারী একটি ড্রাম্প ট্রাক চাপা দেয়। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন গুরতর আহত হওয়াসহ তার জিপ গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি টানা ৩৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে যান।

 

 

তবে নিহত উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদনের ছোট ভাই মোঃ রফিকুল ইসলাম কালু বলেন, এটি নিছক সড়ক দূর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যা সে বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে আস্থা এবং ভালোবাসার মানুষ হিসেবে বটবৃক্ষের মতো ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ স্বর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

১৯৭৩ সালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আততায়ীর গুলিতে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছের আলীর প্রথম পুত্র ছিলেন আহসান হাবীব ভোদন। এর আগে বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আসহান হাবীব ভোদনের মরদেহে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও সকল দলমতের মানুষের কাছে তার গ্রহন যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ছিলো আশাকচুম্বি।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪ | সময়: ৬:৫০ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine