সর্বশেষ সংবাদ :

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড রোদ আর গরমে সাধারণ মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। গরমের কারণে দুপুরের পর শহরের প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ক্লান্ত শরীরে গাছের ছায়ায় বসে থাকছেন শ্রমজীবী মানুষ। গ্রামেও দেখা মিলছে একই চিত্র।
তাপপ্রবাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহী অঞ্চলে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লোড শেডিং। এতে করে জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে আরো একধাপ। রাজশাহী মহানগরীর পাশাপাশি গ্রামেও বিদ্যুতের যাওয়া আসা খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরুমের শুরুতেই বিদ্যুতের এই যাওয়া আসার খেলায় মিশ্রপ্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে জনসাধারনের মাঝে।
গ্রামঅঞ্চলে দিনের বেলা মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করলেও ইফতারির পর থেকে সেহরী পর্যন্ত ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জনগন। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে লোডশেডিং সেভাবে নেই। বিদ্যুতের মেইনটেনস এর কাজ চলমান থাকায় মাঝে মধ্যে লাইন টেনে কাজ করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রাজশাহীর প্রায় সব উপজেলাতেই গরম শুরু হওয়ার পর ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মাগরিবের নামাজের পর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর বিদ্যুৎ আসলেও তারাবিহর সময় পুনরায় টেনে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও রাত ১১ টার পর থেকে ফজরের আযানের আগে একাধিকবার বিদ্যুৎ টেনে নেওয়া হচ্ছে।
একদিকে তীব্র রোদ আর অন্যদিকে গরমে জমির পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় পানির চাহিদা বেড়ে গেছে। কৃষকরা জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ডিপটিউবওয়েল গুলোতে ধর্না দিচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক মত না থাকায় সময় মত পানি না পেয়ে জমিতে পানি দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে পানির অভাবে ধানের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষকরা।
গোদাদাড়ীর কৃষক আবুল হোসেন জানান, বিদ্যুৎ ঠিকমত না থাকায় জমিতেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না ফলে ধানের ক্ষতি হতে পারে। গরমের শুরুতেই যদি বিদ্যুতের এমন ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে পরবর্তিতে আরো জমির ফসলের ক্ষতি হবে বলে জানান।
বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। নেসকো অফিস সূত্র জানান, শুধু গোদাগাড়ী উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১২ মেগা ওয়াট কিন্তু সরবরাহ মিলছে ৭ মেগা ওয়াট। ামেন অনুপাতিক হারে বিদ্যুৎ মিলছে রাজশাহী নগরেও।
রাজশাহী নেসকো পিএলসি বিভাগীয় অফিসের প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) জাকির হোসেন বলেন, গত রাতে রাজশাহী বিভাগের বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ৩৮৮ মেগাওয়াট, সরবরাহ পাওয়া গেছে ৩৭০। বৃহস্পতিবার রাতে চাহিদা ছিলো ৩৭৫ মেগা ওয়াট পাওয়া গেছে ৩৭০ এবং রাত ৯ টায় ৪৫০ মেগাওয়াট চাহিদা ছিলো সরবরাহ পাওয়াে গেছে ৩৮০ মেগা ওয়াট। বিদ্যুতের চাহিদা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করছে। বর্তমান সময়ে গরমের তীব্রতা থাকায় চাহিদা বেশী হচ্ছে তবে বৃষ্টি হয়ে গেলে এই চাহিদা কমে যাবে।
গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে


প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ | সময়: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ