বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বাগমারার হাট বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দাম চড়া। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এলাকার কৃষকের ঘরে ঘরে শত শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ মওজুত আছে। চাষীরা বেশি দামের আশায় অল্প অল্প করে বাজারে ছাড়ছে।
অপরদিকে ব্যবসায়ীরাও আরো বেশি দাম পাওয়ার আশায় পেঁয়াজগুলো তাদের নিজস্ব গুদামে মওজুত রাখা শুরু করেছে। ফলে পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও পেঁয়াজের দাম কমছে না। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের মতে, সেচের পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত সহসা কমছে না দাম।
তবে ভোক্তারা বলছেন, এখনই পেঁয়াজের দাম এতো বেড়ে গেলে রমজান মাসে পেঁয়াজ দেড়শ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের পরিমান ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ওঠার পর দাম কমলেও আবার সপ্তাহের ব্যবধানে আবার বাড়তে থাকে। দেশি জাতের পেঁয়াজ প্রতি মণ ২৮শ থেকে ৩ হাজার টাকা বিক্রি হয়। এরপর সপ্তাহের ব্যবধানে ৩২ শ টাকা ছাড়িয়ে যায় প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম। এখন খুরচা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
স্থানীয় ভোক্তারা বলছেন, এখনই পেঁয়াজের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে রমজান মাসে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দেড়শ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তারা দাবী করে বলেন, রমজান উপলক্ষে এখনই ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কিনে মওজুদ করে রাখছে। এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের উপর প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো দরকার বলে জানান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।
উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষী লুৎফর রহমান জানান, সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেন। প্রতি বিঘায় গড়ে ৭০ মণ করে ফলন হয়। তাতে ৫শ ২৫ মণ পেঁয়াজ হয়েছিল। এরমধ্যে ৩শ মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। অবশিষ্ট পেঁয়াজ দাম আরো বাড়লে বিক্রি করবেন বলে ইচ্ছা পোষন করেন।
হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খামারগ্রামের কৃষক মঞ্জুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকার অবস্থা সম্পন্ন চাষীরা ঘরে পেঁয়াজ মওজুত করছে। রমজান মাসে সেগুলো বাজারে ছাড়বেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল রাজ্জাক বলেন, এ উপজেলায় চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। এখনও মাঠ থেকে পেয়াজ উত্তোলন চলমান রয়েছে। এ পেঁয়াজ চাষীরা আস্তে আস্তে ছাড়ছে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪ | সময়: ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর