নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে দেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হবে না : রাশেদা সুলতানা

নওগাঁ প্রতিনিধি: নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় নাই এ কথাগুলো এখনো উঠে আসে নাই। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন খুবই ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে যেহেতু বাংলাদেশ একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে দলমতের মতামত থাকবেই। এগুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বিচলিত নয়। আমরা চেয়েছিলাম শুধু দেশে না আন্তর্জাতিক মহলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করেছি।
রবিবার দুপুরে নওগাঁয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নওগাঁ-২ আসনের স্থগিত হওয়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পাওয়ার পর বেশকিছু নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। কোথাও কোন অনিয়ম হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠ করতে কমিশন সকল ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছিলন। কোন ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দিয়ে ফিরে যেত হয়নি আমরা সেটি নিশ্চিত করেছি। আসছে যেকোন নির্বাচনেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাাখা হবে। আর যদি কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কোন প্রকারের বিশৃংখলা তৈরীর পায়তারা করে তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর প্রশ্নে জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ইসির দায়িত্ব যেসব প্রার্থী নির্বাচনে এসেছেন তাদেরকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে একই রকম আচরণ করার। আমরা সেটাই করে গিয়েছি বিগত দিনে। বিগতদিনে নির্বাচন সুষ্ঠ না হলে স্বতন্ত্ররা প্রার্থীরা কখনোই নির্বাচিত হতে পারতেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনের ছাড়া দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন কারোই কাম্য না। নির্বাচন কমিশনকে মানুষের কাছে আস্থার জায়গা করে তুলতে হবে। নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে দেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হবে না। নির্বাচন ছাড়া শাষণ ব্যবস্থা পরিবর্তন সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, সুস্থ রাজনীতি দেশের উন্নয়ন ও উন্নতি, আর অশুদ্ধ রাজনীতি মানে দেশ ধ্বংস। এজন্য রাজনীতি সংস্কার করা খুবই জরুরী হয়ে গেছে দেশে। রাজনীতি শুদ্ধতা দরকার। যারা রাজনীতিবিদ আছেন তারা দেশের মানুষকে নিয়ে রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ করবেন। কারন আমরা কেউ রাজনীতির বলয়ের বাইরে নয়। গোটা বিশ্ব রাজনীতির বলয়ের মধ্যে। রাজনীতির মাধ্যমেই গোটা বিশ্ব চলে।
সভায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক গোলাম মাওলা সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ কবীর, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশেদুল হক এবং প্রার্থীরাসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি এই আসনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪ | সময়: ৬:২০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ