রেনীকে এমপি হিসেবে চায় রাজশাহী আওয়ামী লীগ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে পিছিয়ে পড়া নারীদের সামনের সারিতে টেনে আনতে, অর্টিজম শিশু ও তাদের পরিবারকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে যে নামটির কথা প্রথমেই আসে তা হলো শাহীন আক্তার রেনী। তার নানানমুখি সমাজসেবার কাজের জন্য ইতোমধ্যেই প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষের কাছে। সব স্তরের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা জয় করে নিয়ে রাজনীতিতে নিজের জায়গা তো আগেই করে নিয়েছেন তিনি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী। তিনি রাজনীতি ও সমাজসেবায় ইতোমধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনি ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় রাজনৈতিক নারী নেত্রী হয়ে উঠেছেন। নারীদের সংগঠিত করার পেছনে তার অবদান রয়েছে বলে দৃঢ়ভাবে মনে করেন নেতাকর্মীরা। এখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলের নেতাকর্মীরাও চান শাহীন আক্তার রেনীকে অন্য উচ্চতায় দেখতে। যেখান থেকে তিনি আরো বেশি রাজশাহী অঞ্চলের নারীদের উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন। তাই দাবি উঠেছে সংরক্ষিত নারী আসনে সাংসদ হিসেবে তাকে দেখতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ হয়ে গেছে। গঠন করা হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভারও শপথ হয়েছে। এরমধ্যে শুরু হয়েছে সংরক্ষিত নারী আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। সরকার গঠনের পরপরই সরব হয়ে উঠেছেন নারী প্রার্থীরা। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে সংরক্ষিত আসনের ভোট।
দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত ৫০ আসনের নির্বাচন এবং ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। কমিশনের অনুমোদন পেলে চলতি সপ্তাহে সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের ভোটার হন। তবে এবার দুটি সংরক্ষিত আসন বাদে ৪৮টি আসনই আওয়ামী লীগের হাতে আছে।
সংরক্ষিত আসনে রাজশাহী থেকে কে হচ্ছেন নারী সংসদ সদস্য তা নিয়ে এখন থেকে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই সম্ভাব্য নারী সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নজর এখন সেদিকেই। বিষয়টি নিয়ে দেন-দরবারের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকায় অস্থান করছেন কেউ কেউ।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এবার নতুন মুখ হচ্ছেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী। তিনি রাজনীতি ও সমাজসেবায় ইতোমধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনি ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় রাজনৈতিক নারী নেত্রী হয়ে উঠেছেন। নারীদের সংগঠিত করার পেছনে তার অবদান রয়েছে বলে দৃঢ়ভাবে মনে করেন নেতাকর্মীরা।
গত সিটি ও সংসদ নির্বাচনে নারীদের নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শাহীন আক্তার রেনী। এছাড়া দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি সব সময় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখার কারণে ইতোমধ্যে বিশিষ্ট সমাজ সেবক হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। রাজশাহী মহানগরীতে অর্টিজম শিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য তার আলাদা সুনাম রয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া নারীদের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। এজন্য তাকে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য করতে ইতোমধ্যেই জোরালো দাবি উঠেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
এছাড়াও রাজশাহী থেকে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়নের জন্য এবার বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তারা হলেন, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিঘাত পারভীন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নাসরিন আক্তার মিতা, সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রোকসানা মেহবুবা চপলা, সাবেক মহানগর মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইফফাত আরা কামাল।
২০০৮ সালে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দ্বিতীয়বারের মত সংসদ সদস্য হন প্রয়াত জিনাতুন নেসা তালুকদার। ২০১৪ সালে তৃতীয় দফায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় বাদ পড়েন তিনি। রাজশাহী থেকে সংরক্ষিত আসনে সেবার নতুন মুখ হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বেগম আখতার জাহান। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হন যুব মহিলা লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আদিবা আনজুম মিতা। অনেকটা চমক দিয়ে তিনি এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, মনোনয়ন অনেকেই চাইবেন। তবে এর মধ্যে যিনি সৎ, যোগ্য ও সাংগঠনিক, তাকেই আমরা চাইবো। আমাদের দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা যা ভালো বুঝবেন তাই করবেন। আমরাও যোগ্য সংসদ চাই এ আসনে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, কে প্রার্থী হচ্ছে না হচ্ছে আমি তা জানি না। নেত্রী যা ভালো বুঝবেন তাই করবেন। রাজশাহীতে কতগুলো প্রার্থী আছেন সেটাও আমার অজানা। তাই এ বিষয়ে আমার কোনো মতামত নেই।