শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছেলে বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনের নামে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। নৌকার পক্ষে কাজ করায় ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ঈমান আলীকে লাঞ্চিতের ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে এবং এগুলো বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার সকল কাউন্সিলররা।
সোমবার দুপুরে পৌর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেল মেয়র শরিফুন্নেসা শিরিন। এসময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, দুলাল হোসেন, আলম হোসেন, আছিয়া বেগম, রাজিয়া বেগম, সোনাভান বেগম, আসলাম হোসেন, গিয়াসউদ্দিন মনির, শহিদুল ইসলাম, দুলাল হোসেন ও জামাল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।
বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম জাকির হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহানারা বেগম ও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আইনুল হকের জেষ্ঠপুত্র। তিনি নিজেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলররা বলেন, কাউন্সিলর ঈমান আলী একটি মহলের ইন্ধনে তাকে লাঞ্চিত করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে মেয়রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এমনকি নির্বাচনী আচরণ বিধি না মেনে মানববন্ধন করে ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে মেয়রের বিচার দাবি করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। ঈমান আলী জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংসদের (জাসাস) উপজেলা সম্পাদক হয়েও নিজেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কথিত ভাতিজা ও নৌকার কর্মী পরিচয় দিয়ে মেয়রকে হেনস্তা করতে পরিকল্পিতভাবে এমন অপকর্ম করে চলেছেন।
তবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ঈমান আলী বলেন, লাঞ্চিত করার কথা আমি বলিনি, অন্যরা প্রচার করেছে। তবে তিনি আমাকে গালিগালাজসহ হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আর একসময়ে বিএনপির সাথে থাকলেও গত রবিবার আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি।
মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, ব্যাক্তিগত সুসম্পর্কের কারণেই তাকে মায়ের পক্ষে কাজ করার অনুরোধ করেছিলাম। লাঞ্চিত বা হুমকি দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু নির্বাচনে আমার মায়ের শক্ত অবস্থানের ভীত হয়ে একটি পক্ষ তাকে ব্ল্যাকমেইল করে আমাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছে।