উন্নয়নে গতি পেয়েছে মুন্ডুমালায়

আসাদুজ্জামান মিঠু: রাজশাহীর মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমানের দায়িত্ব গ্রহণের পৌণে তিন বছর পার হয়েছে। ভোটের আগে মুন্ডুমালা পৌরসভা বদলে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পৌনে তিন বছরেই তার বাস্তবায়ন দেখছেন পৌরবাসী। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দৃশ্যমান এখন পরিকল্পিত উন্নয়ন। হাতে নেয়া হচ্ছে মহাপরিকল্পনা।
পৌর এলাকার সকল জনসাধারণ কল্যাণের কথা চিন্তা করে এগিয়ে চলেছে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা। পৌর মেয়র সাইদুর রহমানের মাত্র পৌণে তিন বছরে অতন্ত ২৭টি উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো মধ্যে কার্পেটিং ও আরসিসি রাস্তা এবং ড্রেন রয়েছে।
এছাড়াও পৌর বাজারের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর হতে ৫টি ওয়ার্ডে ঘিরে করা হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। ইতি মধ্যে এ পরিকল্পনার নকশার কাজ শুরু হয়েছে। পৌর বাজার হতে ৫টি সংযোগ সড়কে পাশ দিয়ে যাবে আধুনিক ড্রেন ও কার্পেটিং রাস্তা। বাজারে গড়ে উঠবে তিন তলা মার্কেট। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আরো বেশি সুফল পাবে পৌরবাসী।
পৌর বাজারে তিন রাস্তার মোড়ে দৃশ্যমান এখন বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর ও ম্যুরাল। এতে যানবহন চলাচলে যেমন সুবিধা হয়েছে তেমনি পৌর মেয়রের দৃশ্যমান উন্নয়ন সবার নজর কাড়ছে।
মুন্ডুমালা পৌনসভা ২০০২ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমান পৌর মেয়রের পৌর তিন বছরে যে পরিমান উন্নয়ন করেছেন ২০ বছরেও তা কেউ করতে পারেনি। এজন্য স্থানীয় সুশিল সমাজের প্রতিনিধি তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
মুন্ডুমালা পৌর প্রকৌশলী ও প্রশাসন বিভাগ সুত্রে মতে, ২০২১ সালের তিন মার্চ মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন সাইদুর রহমান। এর পরে পৌর ভবনের সংস্কার করে করেছেন আধুনিকয়ন করণ। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প পর্যায়ে-২ পৌর এলাকার ১০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তার কযেক কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং ও ঢালায়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন।
এছাড়া প্রকাশ নগর ও টকটকিয়া বাগমারাপাড়া জগদিসপুর তালুকপাড়া এবং সাতপুকুর চুনিয়াপাড়া পাঁচন্দর ময়েনপুর গ্রামে আরসিসি রাস্তা কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ৯টি ওয়ার্ডে ড্রেনের কাজ।
এদিকে পৌর এলাকায় মিঠাপানি সমস্যা প্রকোট ছিল। মেয়র নির্বাচন হওয়ার পর সে পানির সমস্যার দুর করতে ইতি মধ্যে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ২৫০টির বেশি সার্বমার্সেবল পাম্প এবং চুনিয়াপাড়া একটি বড় ডিপ বসিয়ে ২৩ হাজারে একটি বড় ট্যাংকি করা হয়েছে যা দিয়ে গ্রামে প্রায় ৫ হাজার মানুষের পানি সমস্যা দুর করা হয়েছে। এ উন্নয়নে পৌরসভার ১০টি গ্রাম এখন আধুনিক যোগাযোগের সুফল ভোগ করছে।
রাস্তাগুলো হচ্ছে বাগমারা পাড়া থেকে পাঁচন্দর আওয়ালের মোড় এক কিলোমিটার। ঝলঝলিয়া থেকে গৌরাঙ্গপুরে দেড় কিলোমিটার। আইড়া মোড় থেকে করিমপুর ৭৫০ মিটার, তালুকপাড়া হতে যৌগদিশপুর এক কিলোমিটার। মুণ্ডুমালা বাজার থেকে উত্তরপাড়া এক কিলোমিটার।
এছাড়াও এলাকার মসজিদ, মন্দির গোরস্থানসহ অবকাঠামো উন্্নয়নে কাজ শেষ হয়েছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে রাস্তা-ঘাট আলোকায়ন করা হয়েছে। নাগরিক সুবিধার জন্য প্রায় দুই হাজার রোড লাইট আছে। অল্প সময়ে ২য় শ্রেণির পৌরসভাটিকে প্রথম শ্রেণিতে নিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি।
নির্বাচিত হয়ে মেয়র পদে বসার পর থেকেই পৌর পরিষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশ দক্ষতায় সহিত পরিচালনা করে আসছেন মেয়র সাইদুর রহমান। নিয়মিত অফিস করে শতভাগ নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করেছেন তিনি। পৌর পরিষদ নিয়ে নিয়মিত করেছে মাসিক সভা। নগর উন্নয়ন নিয়ে এলাকার সুধিজনের সাথে ত্রিমাসিক সভা করেছেন একাধিবার। মন দিয়ে শুনছেন সাধারণ নাগরিকের নানান অসুবিধার কথা। সে অনুযায়ী সাধ্যের মধ্যে থেকে কাজ করে যাওয়ার চেষ্টাও করছেন। এতে পৌর নাগরিকদের কাছে দিনে দিনে বেশ জনপ্রিয়তা হয়েও উঠছেন তিনি।
মেয়রের এমন সফলতা শুধু পৌর এলাকায় নয়, উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও জেলা প্রশাসনে আইন, শৃংখলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভাতেও দক্ষ মেয়র হিসাবে পরিচিতি ও প্রশংসিত হয়েছেন সাইদুর রহমান।
সাইদুর রহমান শুধু মেয়র নয়। পাশাপাশি পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘ ১২ বছর থেকে। এতে পৌর আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে বেশ ভূমিকা রয়েছে তার। নেতাকর্মীদের সুখে দুখে পাশে থেকেছেন। সকল জাতীয় দিবস উদযাপন করেছেন সবাইকে নিয়ে। উৎসবে নেতাকর্মীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজে উপহার দিয়েছেন তিনি। এতে গতি পেয়েছে দলের মধ্যে।
মেয়র আরো জানান, দীর্ঘদিন যাবত ২য় শ্রেণির পৌরসভা রয়ে গেছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কাজ ছিল নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধিসহ প্রথম শ্রেণির পৌরসভার গড়ার। প্রথম শ্রেণি করতে অনেক শর্ত ছিল। সেগুলো মধ্যে পৌরকর বৃদ্ধি। আমি পৌর নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে তাদের মতামতের ভিত্তিতে পৌরসভার উন্নয়নের জন্য তা বৃদ্ধি করেছি। এতে সফল হয়েছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে হয়তো আমরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নতি করতে সক্ষম হব। আশা রাখছি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে গ্রামকে শহর রূপান্তর করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ নিয়ে দল করি আমি। মানুষের কল্যানে কাজ করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রামকে শহর রূপান্তর করতে কাজ করছেন। আমিও তার একটি অংশিদার হিসাবে এখানে কাজ করছি।


প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৩ | সময়: ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ