বর্তমান শিক্ষার্থীদের বাদ রেখে হীরকজয়ন্তী : রাবির মন্নুজান হলগেটে তালা

রাবি প্রতিনিধি : হল গেটে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বর্তমান শিক্ষার্থীদের বাদ রেখে হীরকজয়ন্তী উদযাপনের আয়োজন করার বিরুদ্ধে দেয়া প্রতিবাদলিপির জবাব না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হল গেটে তালা দেন তারা। পরে এদিন দুপুর বারোটার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ ও আয়োজক কমিটির অভিযুক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দাবি মেনে নিলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হলের হীরকজয়ন্তী উদযাপনে অংশগ্রহণ নিয়ে গত সোমবার আয়োজক কমিটির যুগ্ন-আহ্বায়ক বর্তমান শিক্ষার্থীদের হেয় করে মন্তব্য করেন। এর প্রেক্ষীতে গত ৪ অক্টোবর হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর প্রতিবাদলিপি দিয়ে ২ দফা দাবি জানান বর্তমান শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রতিবাদলিপির জবাব না দেওয়ায় হল গেটে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
প্রতিবাদ লিপিতে জানানো বর্তমান শিক্ষার্থীদের দাবি দুইটি ছিলো, শিক্ষার্থীদের সাথে হীন আচরণ করায় হীরকজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী আয়োজক কমিটির যুগ্ন-আহ্বায়ক অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পীকে শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং সকল ব্যানার হতে ‘হীরকজয়ন্তী’ শব্দের ব্যবহার মুছে ফেলতে হবে।
আন্দোলনের বিষয়ে মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস পিউ বলেন, আমাদের হলের হীরকজয়ন্তী ও পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করা সূত্রে উদযাপন কমিটির যুগ্ন-আহ্বায়ক বর্তমান শিক্ষার্থীদের হেয় করে মন্তব্য করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে আমরা গতকাল (বুধবার) হল প্রভোস্টের নিকট প্রতিবাদলিপি জমা দিয়েছিলাম। তিনি যথাসময়ে কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোয় আমরা হলে গেটে তালা দিয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ায় আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।
হেয় করে মন্তব্য করার বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী বলেন, তারা আমার নামে যে অভিযোগ করছে, আমি ওইরকম কোনো কথা বলিনি। তাদের সাথে মিটিংয়ের সময় আমাদের ছয় সদস্যের আয়োজক কমিটির সবাই উপস্থিত ছিল, তারা সাক্ষী আছে। আমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি, এটার থেকে বড় বিষয় অনুষ্ঠানটা আমাদের করতে হবে। আগামীকাল অনুষ্ঠান। আমাদের রেজিস্ট্রেশনকারী অনেকে চলে এসেছে ইতিমধ্যে। আমার কথা হচ্ছে, ২ তারিখে কিছু হলে, তারা কেন তিনদিন পরে বিষয়টি সামনে আনলো, ওইদিনই আনতে পারতো।
সার্বিক বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশিদা খাতুনের মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।


প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৩ | সময়: ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ