রোমাঞ্চ সঙ্গী করে চীনে যাচ্ছেন নারী ক্রিকেটাররা

স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে নারী ক্রিকেট দলের। কিন্তু এবার অন্য সব কিছুতে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। খেলতে যাচ্ছেন এশিয়ান গেমস। যেখানে আছে রোমাঞ্চকর মার্চপাস্ট। মার্চপাস্টের জন্য লাল-সবুজের শাড়িও পেয়েছেন তারা। স্বর্ণ জয়ের লড়াই চলাকালে থাকছে গেমস ভিলেজে থাকার মতো দারুণ সুযোগ। ফলে রোমাঞ্চ সঙ্গী করে রবিবার রাতে দেশ ছেড়ে যাবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
যাওয়ার আগে নারী দলের ক্রিকেটাররা মিরপুরে অ্যাকাডেমির সামনে ফটোসেশনে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটারদের চোখেমুখে দেখা গেছে এশিয়ান গেমসে খেলতে পারার তৃপ্তি। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লুকাতে পারলেন না সেটি, ‘আমার জন্য প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। গতবার ওভাবে করতে পারিনি। জানি না আল্লাহ পাক যদি আমাদের সুযোগ করে দেয়, সবার জন্য অনেক বড় একটা অভিজ্ঞতা হবে। অনেক বড় গৌরবের বিষয় হবে। কারণ, এত বড় মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো এবং আমি বলবো এটা আমাদের জন্য অনেক বড় বিষয়।’
জ্যোতি আরও বলেছেন, ‘গেমগুলোতে যেটা হয়, বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারার অভিজ্ঞতা অন্যরকম। কিন্তু সবার সঙ্গে শেয়ার করা তো সেটা বলবো আলাদা। আমার জন্য একদমই প্রথম, আমাদের সিনিয়ররা আরও দুবার গিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শুনেছি, যেটায় আমার কাছে মনে হয় সবাই অনেক রোমাঞ্চিত। যারা এবার নতুন দলে যোগ হয়েছে বা একদম নতুন এসেছে তাদের জন্য বড় একটা অভিজ্ঞতার জায়গা হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে যেখানেই হোক, এশিয়ান গেমস, এশিয়া কাপ হোক বা বিশ্বকাপ, সেটা সবসময় আনন্দের।’
২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিল মেয়েরা। এবার আরও বড় প্ল্যাটফর্ম। সেখানে সোনা জিতে মেয়েরা দেশে ফিরতে চাইছেন, ‘প্রথমে বলবো ট্রফি জেতা আর মেডেল জেতার মধ্যে অনেক তফাৎ, যেটা আমি ফিল করেছি। কারণ, প্রথমবার ২০১৯ সাউথ এশিয়ান গেমস খেলেছি, সেখান থেকে গোল্ড মেডেল নিয়ে এসেছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে ট্রফির থেকে গোল্ড মেডেলের আনন্দটা অন্যরকম। বলবো যে সবার ইচ্ছে তো অবশ্যই, বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ যে ফলাফল, বাংলাদেশকে বড় একটা অ্যাচিভমেন্ট তথা গোল্ড নিয়ে আসা, ওই প্রত্যাশা তো থাকবে।’
লক্ষ্য বাস্তবায়নে এক মাস ধরে সিলেটে ফিটনেস ট্রেনিং করেছে মেয়েরা। স্কিলের ঘাটতি তেমন না থাকলেও ফিটনেসের সমস্যায় আছেন অনেকে। সেসব নিয়েই মূলত সিলেটে লম্বা সময় কাজ করেছেন তারা। জ্যোতি মনে করেন, এই পরিশ্রমের ফল গোটা দলই পাবে, ‘এক মাস আমরা অসম্ভব পরিশ্রম করেছি। আর সেটার ফল অবশ্যই দেখতে পাবো। আমাদের ফিটনেস সংক্রান্ত কিছু ইস্যু ছিল। এই জায়গায় উন্নতি করতে পারলে পারফরম্যান্সে আরও উন্নতি হবে। শেষ ক্যাম্পটাতে ফিটনেসের ওপরই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ, ফিটনেস লেভেল উন্নতি করলেই স্কিলের উন্নতি অটোমেটিক হয়ে যাবে।’
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চীনে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান গেমসের এবারের আসর। ২০১৮ এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটের ইভেন্ট ছিল না। এবার ছেলেদের বিভাগে ১৫টি এবং মেয়েদের বিভাগে ৯টি দল অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাও দল পাঠাবে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, সাথী রানি, ফারজানা হক পিংকি, শামীমা সুলতানা, সোবহানা মোস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, লতা মণ্ডল, সুলতানা খাতুন, ফাহিদা খাতুন, রাবেয়া, সানজিদা আক্তার মেঘলা, মারুফা আক্তার ও দিশা বিশ্বাস। স্ট্যান্ডবাই: সালমা খাতুন, মুর্শিদা খাতুন, আশরাফি ইয়াসমিন অর্থি।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩ | সময়: ৪:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ