নগরীতে বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীতে বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন করে একের পর এক নির্মাণ হয়েই চলেছে নকশাবহির্ভূত বহুতল ভবন। ফলে ঝুঁকির মধ্যে পড়লেও আশপাশের ভুক্তভোগীরা প্রতিকার পাচ্ছে না। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) দফতরে প্রায় প্রতিদিন এমন অভিযোগপত্র জমা পড়লেও রহস্যজনক কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আরডিএ থেকে পাঁচতলার অনুমোদন নিয়ে সাততলা ভবন আবার সাততলার অনুমোদন নিয়ে দশতলা ভবনও নির্মিত হচ্ছে একের পর এক। এছাড়া বিল্ডিং কোড উপেক্ষা করে সড়ক ঘেঁষে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আবার ভবনের উচ্চতা অনুযায়ী রাস্তা ও ফাঁকা জায়গা ছাড়ার নির্দিষ্ট বিধি থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।
নগরীর হড়গ্রাম সবজিপাড়া সদর এমপি ফজলে হোসেন বাদশা’র পশ্চিম পাশে আটতলা ভবন নির্মাণ করছেন মো. নাজির উদ্দিনের ছেলে তানভীর আহমেদ সজীব ও তাজ উদ্দিন আহম্মেদ। এই নির্মাণাধীন ভবনের চারিপাশে কোন জায়গা ছাড়েননি। এছাড়াও এক ভূক্তভোগির বাড়ির ছাদের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ঢুকে পড়েছে ৩ ইঞ্চি। নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের সমস্ত পানি পড়ছে। এব্যাপারে রাজশাহী উন্নয়ন (আরডিএ) কর্তৃপক্ষে মৃত এমান উদ্দিনের ছেলে মো. বশির উদ্দিন অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।
তবে অভিযোগের পরে আরডিএর কর্মকর্তা ভবনটি পরিদর্শন করেও বিভিন্ন অনিয়মের জন্য মালিকদের নোটিশ করেছিলেন। এরপরেও ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়নি। বরং এমন অনিয়মের মধ্যে দিয়েই পুরোদমে ভবন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এমনকি ইমারতের ভিত্তিসহ নির্মাণ প্রদর্শনের প্রমাণপত্র করা হয়নি। এছাড়াও আরডিএ অনুমোদন নম্বর, তারিখ, অনুমোদত তলা উল্লেখপূর্বক নির্মাণ সংক্রন্ত তথ্য-বোর্ড স্থাপন না করেই চলছে আটতলা ভবনের নির্মাণ কাজ।
সরোজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওই ভবনের বেজমেন্টে যতটুকু জায়গা ছাড়া হয়েছে-তা আবার ওপর তলাগুলো পূরণ দেয়া দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ওপরে কোন জায়গা ছাড়া হয়নি। এমনকি পাশের এক বাড়ির ছাদের মধ্যে প্রায় ৩ ইঞ্চি ঢুকে পড়েছে। এতে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের পানি ভুক্তভোগি বশির উদ্দিনের বাড়ির ছাদে পড়ছে।
বছির উদ্দিন জানান, তার বাড়ির সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়েছে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ। ওই ভবনের ছাদের পানি তার বাড়ির ছাদে পড়ছে। এমনকি নির্মাণাধীন ভবন তৈরির খুয়া, বালি তার বাড়ির ছাদের ওপরে পড়ছে। আরডিএ কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দেয়া হলেও অজানা কারণে সমাধান হচ্ছে না। বরং প্রতিনিয়ত নির্মাণাধীন বাড়ির খুয়া, বালি ও পানি পড়ে নিজের বাড়ির ছাদ দুর্বল করে ফেলছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত তানভীর আহমেদ সজীব মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩ | সময়: ৬:২১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ