এমটিএফই অ্যাপের রাজশাহীর মূল হোতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

স্টাফ রিপোর্টার : অনলাইনে লোভনীয় অফারে এমটিএফই অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে রাজশাহীর আদালতে মামলা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে মূল হোতারা। দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনো মুল হোতো ও তাদের সহযোগীদের নাগাল পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হলে প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসে। গত ২৩ জুলাই মামলা দায়েরের একমাস পর ২৪ আগস্ট এমটিএফই অ্যাপ ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করে। পরে তাদের আদালতে চালান দিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এমটিএফই এর রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান নগরীর রাজপাড়া এলাকার সবুজ ও তার স্ত্রী আশা মনি ও তাদের অন্যতম সহযোগী এমটিএফই সিইও রাজপাড়া এলাকার খোকোনের ছেলে আব্দুর রহমান বিপ্লব ও তার স্ত্রী সুমিও এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে।
এমটিএফই অ্যাপে বিনিয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ২৩ জুলাই আইনজীবী জহুরুল ইসলাম স্বপ্রনোদিত হয়ে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। এতে ‘এমটিএফই’ ছাড়াও ‘আলটিমা উইলেট’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা উল্লেখ করা হয়। আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান আরজিটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নগরের রাজপাড়া থানার ওসি তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনটি সংস্থার তিনজন কর্মকর্তাকে যৌথভাবে এই মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পর দিন মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়।
এরপর গত ২৪ আগষ্ট দিবাগত রাতে এমটিএফই অ্যাপ ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা। পরে তাদের রিমান্ড নেওয়া হলেও আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওই সময় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে লতিফুর বারী (৪২) ও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিষহারা গ্রামের দিজেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে দিপেন্দ্রনাথ সাহাকে (৪৩)। গ্রেফতার করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে দিপেন্দ্রনাথ মোহনপুর উপজেলার খালমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। গ্রেফতার লতিফ ও দিপেন্দ্রনাথ এমটিএফইর সিইও পদে ছিলেন। তারা দুইজনই রাজশাহী শহরে বসবাস করতেন।
রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া এলাকার ফিরোজ নামের এক যুবক অভিযোগ করেন, এমটিএফই অ্যাপের রাজশাহী বিভাগের প্রধান রাজপাড়া এলাকার ডালুর ছেলে সবুজ ও তার স্ত্রী আশা মনি ও তাদের অন্যতম সহযোগীর মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হন। মামলা হওয়ার পর থেকে সবুজ ও বিপ্লব পলাতক রয়েছে। কিন্তুু সবুজের স্ত্রী আশা মনি ও বিপ্লবের স্ত্রী সুমি এলাকায় থাকলেও তাদের গ্রেফতার করা হয় নি। তিনি আরো বলেন, সবুজের পিতা ও মাতা এমটিএফই অ্যাপের সিইও এবং বিপ্লবের স্ত্রী সুমি সিইও ছিলেন। তারা এলাকাতে আলিশান ভাবে জীবন যাপন করছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের তাদের বিষয় জানালেও তাদের গ্রেফতার করছে না। তাদের গ্রেফতার করলে মুহোতা সবুজ ও বিপ্লব হাজির হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এসআই শিমুল কুমার বলেন, এমটিএফই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যানদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ | সময়: ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ