নির্বাচন বিরোধিতা সহ্য করা হবে না : শাহরিয়ার

নুরুজ্জামান, বাঘা: রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের কথা আমরা ভুলিনি। সেইবার জামাত-বিএনপিরা বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট প্রদানে বাধা প্রদান সহ ককটেল নিক্ষেপ এবং এ দেশের অসংখ্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে লুটপাট করেছিল।
কিন্তু এবার সে সুযোগ নেই। এবার যদি কেউ নির্বাচনে বাধা দিতে আসে তাহলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। শনিবার দুপুরে বাঘার আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসকল বেইমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার দুই কন্যাকে হত্যা করতে পারেনি, তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেদিনও প্রাণে বেঁচে যান জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর এ ঘটনার নায়ক তারেক জিয়া। বর্তমানে তিনি সাজা ওয়ারেন্ট নিয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে আছেন। তবে বর্তমানে শেখ হাসিনা আর জীবনের পরোয়া করেন না। তাঁর মাথায় এখন একটিই চিন্তা, পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে এই দেশকে সোনার বাংলা গড়ার। শাহরিয়ার আলম বলেন, নিজের ভাগ্য উন্নয়ন কে না চায়। আমি এ অঞ্চলে যাদের নানা ভাবে সহায়তা করেছি তাদের অনেকে বর্তমানে ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট কিনেছেন। কেউ নিজের নামে, কেউবা মেয়ের নামে। আমি গত ১৫ বছর ধরে এ অঞ্চলের মানুষের সাথে আছি। আমার কাওকে চিনতে বাঁকি নেই।
আমি যাদের সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সহায়তা দিয়েছি এখন তারাই আমার সাথে বেঈমানি করছে। এদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, আমি চাই বাগানে অনেক ফুল ফুটুক। তবে আমি শ্রেষ্ঠ ফুলটি বেছে নিবো। প্রধানমন্ত্রী এই দেশকে স্মাট বাংলাদেশ বানাতে চান। তবে দুর্নীতি করে নয়, মুরব্বীদের সাথে সালাম বিনিময় এবং শততার ভিত্তিতে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি এবং ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিএনপি অপারেশন ক্লিনহাট চালিয়ে এ দেশের শত-শত মানুষকে হত্যা করেছে। তারা আন্দোলনের নামে হেফাজতে ইসলামকে রাস্তায় নামিয়ে নিজেরা ঘরে বসেছিল। যেমনটি এখন করে থাকে, তারেক জিয়া সহ তাদের উর্ধতন নেতারা।
প্রক্ষান্তরে ড. ইউনুস নানা কৌশল খাটিয়ে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তার মধ্যে কোন সতাতা নেই। কদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, সম্প্রতি একজন মানুষ কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার করে জীবনের জ্বালা মিটিয়েছে।
প্রশ্ন হলো, ঐ মানুষটি কেন কিস্তির টাকা তুলেছিল? হতে পারে সাংসারিক অভাব-অনটন, কিংবা কন্যার বিয়ে অথবা পরিবারে কেউ অসুস্থ। তাহলে কিস্তি আদায়কারিরা এমন অত্যাচার শুরু করলো লোকটি আত্মহত্যার পুর্বে কাগজে লিখে গেলো ‘আমি কিস্তর টাকা আদায়কারিদের অত্যাচার সাইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম।’ বিচার বিভাগের ভাষায় এটিকে বলা হয়, আত্মহত্যা প্ররোচণা।
সবশেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সকল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে আবারও নৌকাকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহামুদুল হাসান, আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম, আড়পাড়া ওর্য়াড আ’লীগের সভাপতি জিজ্জুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার ও আ’লীগ নেতা ফারুক হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু ও নছিম উদ্দিন, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক কেতাব আলী, উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতা ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতারা।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩ | সময়: ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ