এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১৯৬০ ডেঙ্গু রোগি

সানশাইন ডেস্ক: ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরের হাসপাতালে গত কয়েকদিন থেকে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ার মধ্যে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৬০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ১১২৭ জনই ঢাকার বাইরের, যা মোট শনাক্তের ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৬৯৫ জনই। আর এ বছর শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন। ঢাকা নগরীর হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ৫৩ হাজার ৪৮৯ জন।
এদিকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস বহনকারী এইডিস মশার কামড়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট ৫৩৭ জনের মৃত্যু হল। হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং মৃত্যুর এ সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
স্বাস্থ্য অধিধপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৮৩৩ জন ঢাকায়। মৃত ৯ জনের মধ্যে ঢাকায় ৫ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮ হাজার ২৩৬ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৩৮৪৬ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪৩৯০ জন।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জুন মাসে যেখানে পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাই মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ৮৫৪ জনে। অগাস্টের ২৬ দিনে ৬০ হাজার ৩৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মাসের হিসাবে- জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন, জুন ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জুনে সারাদেশে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জুলাইয়ে ২০৪ জনের মৃত্যু হয়। অগাস্টের ২৬ দিনে সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে, এ মাসে মৃত্যু হয়েছে ২৮৬ জনের। জানুয়ারিতে ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ২ জন, মে মাসে ২ জন এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। এ বছর এইডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা। ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গুবাহী মশার বিস্তার বাড়ছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।


প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৩ | সময়: ৫:০১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর