নিয়ামতপুরে বেড়েছে সাপের উপদ্রপ

নিয়ামতপুর প্রতিনিধি: চলতি বর্ষার মৌসুমে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাপের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। গ্রামের পথে-প্রান্তরে, কোথাও কোথাও বসতভিটার আশপাশে পানি জমেছে। ফলে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে আসায় গ্রামাঞ্চলে সাপের উপদ্রপ বেড়েছে। এতে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগীদের নিয়মিত সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
গত ৩১ জুলাই দিবাগত রাত ২ টায় নিয়ামতপুর উপজেলার পুস্তইল সাহাপুর মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় সাপে কামড়ে সাদিয়া খাতুন (৯) ও আসমা আক্তার (১৩) নামে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, বিষাক্ত সাপের কামড়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর মূল কারণ সচেতনতার অভাব। ওঝা বা কবিরাজ ও বেদের মাধ্যমে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে চিকিৎসা করা, রোগীকে হাসপাতালে আনতে দেরি করা এবং বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে চিকিৎসা না করানোর ফলে অনেক প্রাণ অকালে ঝরে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) প্রণব কুমার সাহা বলেন, অনেকে সাপে কাটার পর ওঝা বা কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়। যখন রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায় তখন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ফলে সেই সময়ে ডাক্তারদের আর কিছু করার থাকে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুব-উল আলম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগীর সেবা দেয়া হচ্ছে। বিষাক্ত সাপ কামড়ালে তার জন্য অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ ও এটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রোধ করার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন তা আমাদের মজুত রয়েছে। তাই কোনো ওঝা বা কবিরাজের কাছে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে বিনামূল্যে সেবা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ