ন্যায়বিচার পাওয়ার আত্মবিশ্বাস ফিরেছে মানুষের মধ্যে: প্রধানমন্ত্রী

সানশাইন ডেস্ক: সরকারের নানা মুখী উন্নয়ন ও পদক্ষেপে ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালতে ন্যায়বিচার পাবে, সেই নিশ্চয়তা, সেই আত্মবিশ্বাস মানুষের মাঝে ফিরে এসেছে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্মৃতিবিজড়িত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ দেওয়ার স্থানে ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মারকসৌধ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বিচার ব্যবস্থা ও এ বিভাগের উন্নয়নে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এসব ব্যবস্থা আমি মনে করি ন্যায়বিচার প্রাপ্তি অত্যন্ত সহজ হচ্ছে এদেশের মানুষের জন্য। কাজেই এটা করার ফলে যে যেখানেই থাকুক, ন্যায়বিচার যে পাবে সেই নিশ্চয়তা, সেই আত্মবিশ্বাস মানুষের মাঝে আসছে।
“আজকে অনলাইনে কজলিস্ট যাচ্ছে, ঘরে বসে মানুষ দেখতে পাচ্ছে, ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা হচ্ছে। প্রতিটি আইন ডিজিটালি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মামলার রায়গুলো বাংলায় দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। আদালতে মামলার রায় নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিবরণী অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। সবাই জানতে পারছে কার মামলা কি অবস্থায় আছে।” ভার্চুয়াল কোর্টের সুফল হিসেবে মামলা জট কমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভার্চুয়াল কোর্ট তৈরি করার ফলে আজকে মামলার জট কমে গেছে। আজকে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে। মানুষ দ্রুত বিচার পাচ্ছে।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কার্যক্রম উদ্বোধনের পর যেখান থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন সেই স্থানটিকে সংরক্ষণের জন্য স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মিত হয়েছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৬৯ জন আইনজীবীর নাম স্মৃতিস্তম্ভে খোদাই করা আছে। স্মার্ট জুডিশিয়ারি করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। স্মার্ট জুডিশিয়ারি সেটাও করার পদক্ষেপ নিয়েছি।”
তিনি বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ অর্থাৎ স্মার্ট জনগোষ্ঠি, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সোসাইটি, সাথে সাথে আমাদের অর্থনীতি, আমাদের গভর্নমেন্ট, আমরা স্মার্ট গভর্নমেন্ট করছি, কাজেই সেই ক্ষেত্রে স্মার্ট জুডিশিয়ারি একান্তভাবে প্রয়োজন। সেই পথে আপনারা বহুদূর এগিয়ে গেছেন।” আগামীতে একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দেন তিনি।
দেশের অগ্রগতি অব্যহত রাখতে সবার সহযোগিতা চেয়ে বঙ্গবন্ধুকণ্যা বলেন, “সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, সেই অবস্থায়ও আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রাখছি আমাদের অর্থনীতির চাকাটা যেন থেমে না যায়। সেই ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা চাই। কাজেই এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতাও একান্তভাবে দরকার।”
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। এক সময় ছিল সাহায্য চাওয়া, হাত পাতার বাংলাদেশ, এখন আর সেই বাংলাদেশ নাই। বাংলাদেশ এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাক। আমরা যখনই সরকারে এসেছি কাজ করে যাচ্ছি।”
একই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের রেকর্ড ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।


প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৩ | সময়: ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ