সর্বশেষ সংবাদ :

মতিন ইলেকট্রনিক্স সফলতার আদ্যপান্ত

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: ব্যবসা করতে তেমন মূলধন লাগে না, প্রয়োজন ইচ্ছা, সাহস ও সততা। ‘এক সময় ইলেকট্রনিক্স দোকানেরই কর্মচারী ছিলাম। মালিকের কর্মতৎপরতা ও সততা আর সাফল্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তার দোকানে ৭ থেকে ৮ বছর কাজে থাকি।
এক সময় অল্প কিছু সঞ্চয় নিয়ে শুরু করি চার্জার লাইট, চশমা, ঘড়িসহ ছোট ইলেকট্রোনিক্সের দোকান। দোকান করার পরই বদলে যায় আমার জীবন চলার পথ’। কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহীর জেলা বাগমার উপজেলার সদরের ভবানীগঞ্জ বাজারের আব্দুল মতিন (৪০)। তার বাড়ি উপজেলা সদর থেকে বিশ কিলোমিটার দুরে সুজন পালশা গ্রামে। পিতার চার ছেলে সাত মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার।
অভাবের তাড়নায় ১০-১২ বছর বয়সে ভবানীগঞ্জ বাজারে জুলফিকার আলী ভুট্টো নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে শুধু খাওয়া থাকার শর্তে কাজ শুরু করেন। কর্মদক্ষতা ও সততার দেখে মালিক এক মাস যেতেই হাতে বেতন ধরিয়ে দেয়। বছর অন্তে বাড়তে থাকে তার ভাতা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আব্দুল মতিনের চিন্তা ভাবনা বদলে যায়। পিতার অভাবের সংসার আর ছোট ভাই বোনদের বরাবরই সে মনে করে। এক সময় তিনি নিজের আয়-উন্নতির পরিকল্পা করতে থাকেন।
চিন্তা করলেন ইলেকট্রনিক্স দোকানের সব ধরনের কাজ পারেন, পাশাপাশি নিজেও এক্ষেত্রে সকল সহায়তা পেতে পারেন মহাজনদের। আর তাই ঋণ নিয়ে ছোট পরিসরে ওই বাজারে গড়ে তুলেন ছোট একটি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্সের দোকান। ধীরে ধীরে এর প্রসার বাড়াতে থাকেন। বর্তমানে বাজারের পাশে ৫ কাঠা জমি ক্রয় করেছেন।
ভবানীগঞ্জ বাজারে ‘মতিন ইলেকট্রনিক্স’ নামে বড় পরিসরে গড়েছেন দোকান। আবদুল মতিন সব কাজের পাশাপাশি পাইকাড়ি চশমা, ঘড়ি, চার্জার লাইট, হটপট, কম্পিউটারের মালামাল সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল বিক্রি ও সাপ্লাই দেন। তার ব্যবহারে ও বিভিন্ন পণ্যের মান ভালো হওয়ায় এলাকায় বেশ সমাদৃত। বর্তমানে মতিন তার দোকানে কয়েকজন কর্মচারী রেখেছেন। অনেক ক্রেতার ভিড় প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা লেন-দেন হয় ‘মতিন ইলেকট্রনিক্স’ দোকানে।


প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৩ | সময়: ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ