গেজেটে পবার জাইদুরসহ চার বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ

স্টাফ রিপোর্টার: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি গেজেট থেকে ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রাজশাহীর পবা উপজেলার একজনের নাম রয়েছে। তিনি হলেন উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের কর্ণহার গ্রামের জাইদুর রহমান। গত ২৬ জুন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল বাকের মোঃ তৌহিদ সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপন থেকে আরো জানা যায়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা আইন ২০২২ (২০২২ সনের ১৫ নং আইন)এর ৬ (গ) ধারা অনুযায়ী প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা, সরকার কর্তৃক এতদ্বারা জঁষবং ড়ভ ইঁংরহবংং ১৯৯৬ এর ঝপযবফঁষব-১ (অষষড়পধঃরড়হ ড়ভ ইঁংরহবংং)-এর তালিকা ৪১ এর ৫নং ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জামুকার ৮৫তম সভার ৫ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেসামরিক গেজেটে চারজনকে বাতিল করা হয়। এরা হলেন বগুড়া জেলার বগুড়া সদরের নামাজগড় গ্রামের মৃত খাজা সামছ উদ্দিন আহমেদের ছেলে খাজা ইফতেখার আহমেদ, নাটাইপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর রহমান সরকারের ছেলে মো. আব্দুল্লাহেল শাফি ও মালতিনগর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন ফকিরের ছেলে মো. আব্দুর রহমান এবং রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের কর্ণহার গ্রামের মৃত হাসিম উদ্দীনের ছেলে জাইদুর রহমান।
এব্যাপারে জাইদুর রহমান বলেন, তিনি এ ধরনের কোন প্রজ্ঞাপনের কপি পাননি। প্রজ্ঞাপনের কপি পেলে আইনগত পদক্ষেপ নিবেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গেজেটে নাম অন্তর্ভূক্তির আবেদন করবেন।
জানা গেছে, “জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২” এর ৭(ঝ) ধারা অনুসারে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আবেদন গ্রহণ ও যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গেজেট বাতিলের সুপারিশ করে থাকে।
এরআগে কোন বীর মুক্তিযোদ্ধার নিকট হতে অন্য কোন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা নন মর্মে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গ্রহণ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী উভয়কে সাক্ষ্য প্রমাণাদি উপস্থাপনের জন্য নির্ধারিত তারিখ উল্লেখ করে পত্র প্রদান করা হয়।
নির্ধারিত তারিখে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী উভয়ের উপস্থিতিতে এক বা একাধিক তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা নন মর্মে প্রমাণিত হলে তার গেজেট বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়। তদন্তের ফলাফল এর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিষয়টি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর সভায় উপস্থাপন করা হয়।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর সভায় গেজেট বাতিলের বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হলে গেজেট বাতিলের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। পরিশেষে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।


প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৩ | সময়: ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ