প্রতিবন্ধীদের ঈদ সামগ্রী : বিতরণের প্যান্ডেল ভাংচুর সড়ক অবরোধ

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণের প্যান্ডেল ভাংচুর, বঙ্গবন্ধুর ছবির অবমাননা ও খাদ্য সামগ্রী মাটিতে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে শতাধিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও তাদের স্বজনরা। সোমবার সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলার বনপাড়া-লালপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে দায়ীদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় প্রতিবন্ধীরা।
স্থানীয়রা জানান, ভবানীপুর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও বহুমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে অনুযায়ী সোমবার সকালে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের আওতাধীন ভবানীপুর কৃষি খামারের জমির মাঝখান দিয়ে যাওয়া কাঁচা রাস্তায় প্যান্ডেল তৈরি করেন তারা। কিন্তু সকালে আয়োজকরা অনুষ্ঠানস্থলে এসে প্যান্ডেল ভাঙ্গাসহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন।
এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কৃষি খামারের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুবুল ইসলামের নেতৃত্বে তার লোকজন প্যান্ডেল ভাংচুরসহ ব্যানার খুলে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে অনুষ্ঠানে আসা প্রতিবন্ধী ও তাদের স্বজনরা সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় প্রতিবন্ধীরা রাস্তায় শুয়ে পড়েন এবং শ্লোগানে শ্লোগানে দায়ীদের বিচার দাবি করেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে প্রায় দেড় ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় তারা।
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা শরিফুল ইসলাম মানিক জানান, প্রতিবন্ধী স্কুলের আঙ্গিনায় স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় লিখিত আবেদনের পর প্যান্ডেল করা হয়েছে। কিন্তু সহকারী ব্যবস্থাপক ও তার লোকজন প্যান্ডেল ভেঙ্গে দেয়াসহ ব্যানার ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির অবমাননা করেছে। পরবর্তীতে আমরা টেবিলে ঈদ সামগ্রী সাজালে তারা সেগুলোও মাটিতে ফেলে দেয়। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে খামারের পাহারাদার কোরবান আলী জানান, স্যারদের নির্দেশেই আমরা প্যান্ডেল ভেঙ্গে দিয়েছি। খামারের ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী মাহমুদুল হাসান জানান, তারা ঈদ সামগ্রী বিতরণের পর স্কুলের নামে খামারের জমি দখল করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই প্যান্ডেলের খুঁটিগুলো উপড়ে ফেলে দিয়েছি। সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, লিখিত আবেদন করলেও তাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে প্যান্ডেল খুঁটি তুলে দিলেও বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননার অভিযোগ সঠিক নয়।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, খবর পেয়ে অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ | সময়: ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ