নওগাঁয় চাহিদার বেশি ৪ লাখ কোরবানীর পশু

স্টাফ রিপোটার, নওগাঁ: পবিত্র ইদ-উল-আযহা আর মাত্র ৯ দিন বাঁকী। জেলার বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে কোরবানীর পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে। স্থানীয় হাটবাজার ছাড়াও খামারীরা তাদের পালিত পশুগুলো ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাট বাজারগুলোতে নিয়ে যাচ্ছেন।
ক্রেতাবৃন্দ নওগাঁর বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে পশু কেনার জন্য যাচ্ছেন এবং পছন্দমত পশু কিনতে শুরু করেছেন। কোরবানীর পশু আর ক্রেতাদের পদচারনায় হাটবাজারগুলো এখন মুখরিত।
এ বছর নওগাঁ জেলায় ৩৩ হাজার ৮১০টি খামারে ৭ লক্ষ ১৫ হাজার ৪১০টি কোরবানীর পশু প্রতিপালন করেছেন। জেলায় এ বছর কোরবানীর চাহিদা রয়েছে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৫৮৩টি। জেলায় চাহিদার থেকে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮২৭টি পশু অতিরিক্ত প্রতিপালিত হয়েছে। অতিরিক্ত পশু ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মহির উদ্দিন জানিয়েছেন প্রতিপালনকৃত গবাদিপশুর মধ্যে রয়েছে ষাড় ৭৩ হাজার ৫৩৬টি, বলদ ২২ হাজার ৬২টি এবং গাভী ৫৪ হাজার ৮৯৮টিসহ মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯৬টি এবং মহিষ রয়েছে ২ হাজার ২৬৯টি। ছাগল ভেড়া ও অন্যান্য পশুর মধ্যে রয়েছে ছাগল ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৬১টি, ভেড়া ৭৬ হাজার ২৮৪টিসহ সর্বমোট ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৪৫টি।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মোতাবেক জেলার ১১টি উপজেলায় উপজেলাভিত্তিক খামারী ও প্রতিপালিত পশুর সংখ্যা হচ্ছে রওগাঁ সদর উপজেলায় ৩ হাজার ২৬৬টি খামারে ৭ হাজার ৯৪৯টি ষাঁড়, ২ হাজার ৯৮টি বলদ, ৩ হাজার ৮২০টি গাভী, ১০৫টি মহিষ, ৫৮ হাজার ৯৪৪টি ছাগল ও ৯ হাজার ২৪০টি ভেড়া।
রানীনগর উপজেলায় ২ হাজার ৯৬৫টি খামারে ৭ হাজার ২৮৮টি ষাঁড়, ৯৮৬টি বলদ, ৩ হাজার ৫৪৭টি গাভী, ১২২টি মহিষ, ৩৮ হাজার ৯৫৯টি ছাগল ও ৬ হাজার ১৮২টি ভেড়া।
আত্রাই উপজেলায় ২ হাজার ৫৪০টি খামারে ৩ হাজার ৯৫৬টি ষাঁড়, ১ হাজার ৪৪টি বলদ, ৩ হাজার ৪৬৫টি গাভী, ৩২টি মহিষ, ৩৮ হাজার ৮৯৮টি ছাগল ও ৬ হাজার ৯০টি ভেড়া।
বদলগাছি উপজেলায় ২ হাজার ৬৪২টি খামারে ৪ হাজার ৭৯৮টি ষাঁড়, ১ হাজার ৩৭৯টি বলদ, ৩ হাজার ২৮৯টি গাভী, ৫২টি মহিষ, ৩৮ হাজার ৬৯৪টি ছাগল ও ৬ হাজার ২৪০টি ভেড়া।
মহাদেবপুর উপজেলায় ২ হাজার ৬৫০টি খামারে ৮ হাজার ২৭২টি ষাঁড়, ৩ হাজার ৩০৬টি বলদ, ৪ হাজার ২০৫টি গাভী, ৮২টি মহিষ, ৪৯ হাজার ১২০টি ছাগল ও ৭ হাজার ৭০০টি ভেড়া।
পত্নীতলা উপজেলায় ২ হাজার ৭৩৮টি খামারে ৮ হাজার ১৬০টি ষাঁড়, ২ হাজার ৬টি বলদ, ৩ হাজার ৮৬০টি গাভী, ৭৫টি মহিষ, ৫৫ হাজার ৪৫০টি ছাগল ও ৮ হাজার ৪৭০টি ভেড়া।
ধামইরহাট উপজেলায় ৩ হাজার ১১৭টি খামারে ৬ হাজার ৯৪৫টি ষাঁড়, ১ হাজার ১৬৭টি বলদ, ৯ হাজার ১৯৬টি গাভী, ৬৫০টি মহিষ, ৩৯ হাজার ২৯৬টি ছাগল ও ৬ হাজার ১৬০টি ভেড়া।
সাপাহার উপজেলায় ৩ হাজার ৭২টি খামারে ৩ হাজার ৬৪১টি ষাঁড়, ২ হাজার ২৭৬টি বলদ, ৪ হাজার ৮৫টি গাভী, ১৮০টি মহিষ, ২৯ হাজার ৪৭২টি ছাগল ও ৪ হাজার ৬২০টি ভেড়া।
পোরশা উপজেলায় ২ হাজার ৬৭৯টি খামারে ৪ হাজার ৫৪০টি ষাঁড়, ২ হাজার ৪৪৯টি বলদ, ৬ হাজার ৯৯০টি গাভী, ৬৮৩টি মহিষ, ২৯ হাজার ৪৭০টি ছাগল ও ৪ হাজার ৬৪২টি ভেড়া।
নিয়ামতপুর উপজেলায় ২ হাজার ৬৩৬টি খামারে ৬ হাজার ১৯৬টি ষাঁড়, ১ হাজার ৬০টি বলদ, ৪ হাজার ২৬০টি গাভী, ৬৮টি মহিষ, ৩৯ হাজার ২৯০টি ছাগল ও ৬ হাজ্রা ১৬০টি ভেড়া এবং মান্দা উপজেলায় ৫ হাজার ৫০৫টি খামারে ১১ হাজার ৭৯১টি ষাঁড়, ৪ হাজার ২৯৩টি বলদ, ৮ হাজার ১০৮টি গাভী, ২২০টি মহিষ, ৬৮ হাজার ৭৬৮টি ছাগল ও ১০ হাজার ৭৮০টি ভেড়া।


প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ | সময়: ৪:১৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর