আইরিশদের চমকে দিয়ে ওমানের ঐতিহাসিক জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: শক্তি-সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতায় ওমানের চেয়ে অনেক এগিয়ে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে দেখা মিলল ভিন্ন দৃশ্যের। উজ্জীবিত ক্রিকেটে বিস্ময় উপহার দিল ওমান। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে অবিস্মরণীয় এক জয় তুলে নিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব জয় দিয়ে শুরু করল ওমান। জিম্বাবুয়ের বুলাওয়ায়োতে সোমবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৫ উইকেটে তারা। প্রতিপক্ষের ২৮১ রান পেরিয়ে যায় ১১ বল বাকি থাকতে। আয়ারল্যান্ড তো বটেই, টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে এটি ছিল ওমানের প্রথম ওয়ানডে।
ওমানের এই ঐতিহাসিক জয়ের পথে ব্যাটে-বলে অবদান রেখে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন জিশান মাকসুদ। বল হাতে ১ উইকেট নেওয়া দলটির অধিনায়ক পরে রান তাড়ায় করেন ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ৫৯।
অবদান কম নয় কাশ্যপ প্রজাপতি, আকিব ইলিয়াস, মোহাম্মদ নাদিমেরও। ইনিংস শুরু করতে নেমে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৭২ রান করেন প্রজাপতি। ৮ চারে ৫২ রান আসে আকিবের ব্যাট থেকে। আর ৪টি চারে ৪৬ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন নাদিম। আইরিশদের শুরুটা অবশ্য খারাপ ছিল না। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও পল স্টার্লিংয়ের ওপেনিং জুটিতে ৫১ রান পায় তারা। পরপর দুই বলে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরতে পারেননি অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি।
৬৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টানেন হ্যারি টেক্টর। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন লর্কান টাকার। এরপর ইনিংসে সবচেয়ে বড় জুটি পায় আয়ারল্যান্ড। টেক্টরকে নিয়ে জুটিটি গড়েন ডকরেল। জয় ওদেদ্রাকে ছক্কার চেষ্টায় লং-অনে ধরা পড়েন ৫ চারে ৫২ রান করা টেক্টর। ভাঙে ৭৯ রানের জুটি। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলের রান বাড়ানোর কাজটি করে যান ডকরেল।
সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পাননি তিনি। অপরাজিত থেকে যান ৯১ রানে। তার ৮৯ বলের ইনিংসটি গড়া ২ ছক্কা ও ৭ চারে। জবাব দিতে নেমে চতুর্থ ওভারে জাতিন্দর সিংকে হারায় ওমান, মার্ক অ্যাডায়ারের বলে স্লিপে ধরা পড়েন এই ওপেনার। শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ওঠে দলটি প্রজাপতি ও আকিবের জুটিতে। চমৎকার ব্যাটিংয়ে দুজনই তুলে নেন ফিফটি।
৪৭ বলে পঞ্চাশের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আকিব। ডকরেলকে স্লগ সুইপ করে ফাইন লেগে ধরা পড়েন তিনি। ভাঙে ৯৪ রানের জুটি। এরপর জিশানকে নিয়ে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ যুগল উপহার দেন প্রজাপতি। ৫৪ বলে ফিফটি করা প্রজাপতির বিদায়ে শেষ হয় ৬৩ রানের জুটি। এরপর নাদিমকে নিয়ে জিশান দলকে টেনে নেন লক্ষ্যের দিকে। কিন্তু কাজ শেষ করে ফিরতে পারেননি তিনি। ৫৮ বলে পঞ্চাশ করা এই ব্যাটসম্যান কট বিহাইন্ড হন জশ লিটলের বলে। তখনও লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে ওমান।
তবে দলকে পথ হারাতে দেননি নাদিম ও আয়ান খান। জয়ের কাছে এসে আয়ান বিদায় নিলেও দায়িত্ব নিয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানার দিকে টেনে নেন নাদিম। ম্যাচ যখন টাই, অ্যাডায়ারকে চার মেরে দলকে বাঁধনহারা উল্লাসে মাতান শোয়াইব খান।


প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ | সময়: ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ