রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান লিটনের

স্টাফ রিপোর্টার : একমাত্র নৌকায় পারে রাজশাহীর মানুষকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে-রাজশাহী উন্নয়ন ঘটাতে। তাই কারো কথায় কান না দিয়ে ২১ জুন সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর এই পাঁচটি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে গণসংযোগ ও পথসভায় লিটন এ আহ্বান জানান। এসব পথসভায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। পথসভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার।
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত ৫ বছরের মধ্যে মাত্র আড়াই বছর কাজ করতে পেরেছি। মহামারী করোনার কারণে দেড় বছর সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশ অচল হয়েছিল। রাজশাহীও অচল হয়েছিল। কোন কাজ করতে পারিনি। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দফায় দফায় খাদ্য বিতরণ, ওষুধ ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়ি বাড়ি পৌছে দিয়েছি। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নির্মাণ সামগ্রী ও ডলার দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে আড়াই বছর তেমন উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে যে অল্প সময় কাজ করতে পেরেছি, তার উন্নয়ন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে কর্মের সংকট। তেমন শিল্পকারখানা নেই। সরকারি কারখানা বন্ধ হয়ে আছে। এবার কর্মসংস্থান দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিসিক শিল্পনরগরী-২ নির্মিত হয়েছে। সেখানে ২৮৭টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা করা যাবে। তিনি আরো বলেন, যে নৌকা স্বাধীনতা এনেছে, যে নৌকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতীক ছিল, যে নৌকা দেশের মানুষকে গণতন্ত্র দিয়েছে, উন্নয়ন দিয়েছে, সেই নৌকা পারে রাজশাহীর মানুষকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার বলেন, আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে সেই বাংলা ভাইয়ের কথা, মনে আছে জঙ্গিবাদ, ফ্যাসিবাদের কথা, মনে আছে নিশ্চয় লুন্ঠন আর অত্যাচারের কথা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশী চক্রান্ত, জামায়াত-শিবির, আলবদর, ঘাতক, রাজাকার সব এক প্লাটফর্মে এসে আজকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সেইখানে যখন তারা ব্যর্থ হন, তখন মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাদের কিছু ডামি দাঁড় করায়, ইসলামের নামে, ধর্মের নামে যারা এ্ই দেশে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায় রাজত্ব কায়েম করেছে, তারায় মাঠে নামায় ডামি হিসেবে, আর তারা ঠিকই থাকেন নেপথ্যে। এই যে তাদের ডাবল স্ট্যান্ড রাজনীতি, নিজের দেশকে হেয় করা, ছোট করা, নিজের দেশের মানুষের ক্ষতি করা, ধ্বংাসত্¦ক রাজনীতি, তার বিপক্ষে থেকে লিটন প্রমাণ করেছেন, রাজশাহী আপানারা দেখেছেন, আপনারা জানেন এটি কোন গল্প নয়, এটি কোন রূপকথা নয়, এটি আমাদের চোখের সামনে রয়েছে যে আজকে রাজশাহী সরাবিশে^র মধ্যে একটি পরিচ্ছন্ন সুন্দর, শহরে পরিণত হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন, আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের ভুল করলে চলবে না। নৌকায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। ব্যালটের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়ে লিটনকে বিজয়ী কনরতে হবে। কারণ রাজশাহীর উন্নয়নে লিটনের বিকল্প নেই।
এসব পথসভায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহসানুল হক পিন্টু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, জাসদ রাজশাহী মহানগরের সভাপতি আবদুল্লাহ-আল-মাসুদ শিবলী, মহানগর ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, রাজশাহী জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু, বাঘা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু, গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, নাচোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কাদের, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নন্দীগ্রাম এর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসহাক আলী, আদমদিঘী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম রাজু, সিংড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, গাবতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।সহ নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।