রাজশাহীতে কর্মের জায়গা তৈরি করতে চাই : লিটন

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীতে কর্মের জায়গা খুবই কম। তাই কর্মের জায়গা তৈরি করতে চাই। শিক্ষিত বেকারদের জন্য কিছু করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। রাজশাহীতে শিল্পায়ন ঘটানোর জন্য যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো তুলে ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে রাজশাহীর শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবো।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল ও রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণসংযোগকালে রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা চলমান রাখতে ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমার জন্মস্থান রাজশাহীর ঋণ পরিশোধে রাজশাহীতে থেকে গেছি শুধুমাত্র রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য। আগামীতে রাজশাহী সিটির আয়তন ৯৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ৩৫০ বর্গকিলোমিটারে সম্প্রসারণ করতে চাই। সম্প্রসারিত এলাকায় উন্নত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা হবে না, রাস্তা ভাঙ্গা থাকবে না, পার্ক থাকবে, আলোকায়ন হবে, স্কুল থাকবে অর্থাৎ নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। আপনারা সুযোগ দিলে সেই কাজটি করতে চাই।
লিটন বলেন, আমার পিতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কাজ করে গেছেন, তেমনি আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে কাজ করে যেতে চাই। রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে আমাকে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
তিনি আরো বলেন, অতীতে আমি মেয়র থাকাকালে আরডিএসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছি। আগামীতে সুযোগ পেলে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাব। রাজশাহীকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
অপপ্রচারে কান না দিয়ে সকলকে সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচন আসলে একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। একটি দল বলছে, তাদের মার্কায় ভোট দিলে একটি হজে¦র সওয়াব পাওয়া যাবে। এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচারে কেউ কান দেবেন না।
গণসংযোগকালে রাকাব, আরডিএ, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল ও রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ | সময়: ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ