রাজশাহী সিটিতে ওয়ার্ডে ওয়র্ডে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস: ৪ মেয়র প্রার্থীসহ ১৭৪ জনের মনোনয়ন জমা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে চারজন মেয়র প্রার্থীসহ মোট ১৭৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। রাজশাহী নির্বাচন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ২৫ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১ জুন। ২ জুন বরাদ্দ করা হবে প্রতীক। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে প্রচার-প্রচারণা। ২১ জুন ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এবার রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে য্ারা লড়ছেন তারা হলেন, আওয়ায়ামী লীগ মনোনীত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাফেজ মুরশিদ আলম ফারুকী ও জাকের পার্টির প্রার্থী আবদুল লতিফ মোল্লা। এরা সবাই দলীয় মনোনয়নে নিজ নিজ দলের প্রার্থী হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শুরু থেকেই তিনি ভোটের মাঠে সক্রিয় থাকলেও অন্য তিনজনের তেমন সক্রিয়তা চোখে পড়েনি।
এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশর ৩০ টি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিলর পদে ১২৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ১০ টি ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪৬ জন। সে অনুযায়ী এবারের সিটি নির্বাচনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটের লড়াই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবারের নির্বাচনে বর্তমান পরিষদের কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলররা সবাই মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তারা আবারও সিটি করপোরেশনে ফিরতে চান। যদিও সব ওয়ার্ডের একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, রাসিকের ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনের সবাই মনোনয়নপত্র তুলেছেন। এই ৪০ জনের সবাই মনোনয়নপত্র দাখিলও করেছেন।
এই নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেয়নি বিএনপি। তবে বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচিত বর্তমান পরিষদের সব কাউন্সিলরই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কাউন্সিলররা ছাড়াও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দল থেকে বহিষ্কারের হুংকারকেও তারা পাত্তা দেননি। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে জামায়াতও।
এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১০ জন মনোনয়নপত্র তুলেছেন নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির আশরাফুল হাসান বাচ্চু। তিনিও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তিনি ছাড়া এ ওয়ার্ডে আরও চারজন বিএনপির নেতা মনোনয়নপত্র তুলেছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের তিনজন এবং জামায়াতের একজন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। অন্য দুজনের মধ্যে একজন কোন দলের নয় এবং অন্যজন জাতীয় পার্টির নেতা। প্রায় নসবা ওয়ার্ডেই এবার একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। এবার সংরক্ষিত একটি ওয়ার্ডে তৃতীয় লিঙ্গের একজন কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তিনি সবার আগেই নেমেছেন ভোটযুদ্ধে।


প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩ | সময়: ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ