সর্বশেষ সংবাদ :

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: বগুড়ায় জটিল ৬ রোগে আক্রান্ত ২,৬২৬ জন পেয়েছে আর্থিক সহায়তা

তথ্য বিবরণী : গত বছর বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় ক্যান্সার, কিডনিজটিলতা, থ্যালাসেমিয়া, লিভার সিরোসিস, প্যারালাইসিস ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত ২ হাজার ৬’শ ২৬ জন মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এই ৬ রোগে আক্রান্ত প্রত্যেককে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সময়ে উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য মতে, উপকারভোগীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল বগুড়া সদর উপজেলায়। এই উপজেলায় মোট উপকারভোগী ৮২৫ জন। এদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত ৩৯০ জন, কিডনিজটিলতায় ২১২ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ২০ জন, লিভার সিরোসিসে ২১ জন, স্টোকে প্যারালাইজড ৯০ জন ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত ৯২ জন পেয়েছে আর্থিক সহায়তা।
বগুড়া সদরের পর সবচেয়ে বেশি উপকারভোগী ছিল শেরপুর উপজেলায়। এই উপজেলায় মোট ২৩২ জন আক্রান্ত রোগী আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেছে। উপকারভোগীদের মধ্যে ক্যান্সারে ১৫০ জন, কিডনিজটিলতায় ৩৫ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ০৪ জন, লিভার সিরোসিসে ০৩ জন, স্ট্রোকে প্যারালাইজড হয়ে ২৬ জন ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জন ভুগছিল।
তৃতীয় সর্বোচ্চ উপকারভোগী ছিল গাবতলী উপজেলায়। এই উপজেলায় ২১৯ জন রোগীকে আর্থিক সহাযতা
দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ক্যান্সারে ১২০ জন, কিডনিজটিলতায় ৩২ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ০৮ জন, লিভার সিরোসিসে ০৯ জন, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ২৬ জন ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত ছিল ২৪ জন উপকারভোগী।
এছাড়া, সারিয়াকান্দি উপজেলায় ক্যান্সারে ৮৭ জন, কিডনিজটিলতায় ২৫ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ০৪ জন, লিভার সিরোসিসে ০৪ জন, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ২২ জন ও জন্মগত হৃদরোগী ১২ জন; সোনাতলায় ক্যান্সারে ৯০ জন, কিডনিজটিলতায় ১৫ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ০৮ জন, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ২৪ জন ও জন্মগত হৃদরোগী ১৮ জন; ধুনটে ক্যান্সারে ৮০ জন, কিডনিজটিলতায় ১০ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ০৭ জন, লিভার সিরোসিসে ০১ জন, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ১৮ জন ও জন্মগত হৃদরোগী ১২ জন; শাজাহানপুরে ক্যান্সার আক্রান্ত ৯৩ জন, কিডনিজটিলতায় ৫৮ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ১৩ জন, লিভার সিরোসিসে ০১ জন, স্ট্রোক প্যারালাইজড ২৬ জন ও জন্মগত হৃদরোগী ২০ জন; দুপচাঁচিয়ায় ক্যান্সারে ৮০ জন, কিডনিজটিলতায় ১৩ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ০৩ জন, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ২০ জন ও জন্মগত হৃদরোগী ০৬ জন; কাহালুতে ক্যান্সার আক্রান্ত ১৪০ জন, কিডনিজটিলতায় ৩০ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ০৭ জন, লিভার সিরোসিসে ০১ জন, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ২৫ জন ও জন্মগত হৃদরোগী ১২ জন; নন্দীগ্রামে ক্যান্সারে ৭০ জন, কিডনিজটিলতায় ১৫ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ০৫ জন, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ১৫ জন ও জন্মগত হৃদরোগী ১৫ জন; শিবগঞ্জে ক্যান্সার আক্রান্ত ৯০ জন, কিডনজটিলতায় ২৫ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ০৮ জন, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ২৫ জন ও জন্মগত হৃদরোগী ০৮ জন পেয়েছে এককালীন আর্থিক সহায়তা।
বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিবেচনায় সবচেয়ে কম উপকারভোগী ছিল আদমদীঘি উপজেলায়। এই উপজেলায় উপকারভোগী ছিল মোট ৯৯ জন রোগী। এদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত ৬০ জন, কিডনিজটিলতায় ১০ জন, থ্যালাসেমিয়ায় ০৩ জন, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ১৯ জন ও জন্মগত হৃদরোগী ছিল ০৭ জন।
উল্লেখ্য, সোনাতলা, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি, দুঁপচাচিয়া ও শিবগঞ্জ উপজেলায় লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত কোনো উপকারভোগী না থাকায় ওই পাঁচ উপজেলায় এ রোগে আক্রান্ত কাউকে আর্থিক সহায়তা দেয়া যায়নি বলে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়।


প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩ | সময়: ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ