সৈকতের সেঞ্চুরি, জিয়া ও রসুলের ঝড়

স্পোর্টস ডেস্ক: শুরুতে ঝড় তুললেন সৈকত আলি। মাঝে হাল ধরলেন নুরুল হাসান সোহান ও রবিউল ইসলাম রবি। শেষে তাণ্ডব চালালেন জিয়াউর রহমান ও পারভেজ রসুল। সম্মিলিত অবদানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব পেল বড় সংগ্রহ। রান তাড়ায় জয়ের কোনো সম্ভাবনাই জাগাতে পারল না লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে সুপার লিগের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৫৯ রানে জিতেছে শেখ জামাল। সৈকতের সেঞ্চুরি এবং সোহান, জিয়া ও রসুলের ফিফটিতে ৫ উইকেটে ৩৫০ রান করে শেখ জামাল। আলোকস্বল্পতায় পুরো ওভার ব্যাট করতে পারেনি রূপগঞ্জ। ইরফান শুক্কুরের সেঞ্চুরিতে তারা ৪৬.১ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৫ রান করার পর খেলা বন্ধ হয়। জয়ী ঘোষণা করা হয় শেখ জামালকে।
এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে রূপগঞ্জ। লিগের শেষ ম্যাচটি এখন রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে। মিরপুরে আগামী শনিবার আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ম্যাচে জিতলেই শিরোপা ধরে রাখবে শেখ জামাল।
দারুণ সেঞ্চুরিতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন সৈকত। স্রেফ ৮১ বলে ১০৮ রান করেছেন তিনি। ১০ চার ও ৫ ছয়ে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৪২ বলে ৬৪ রান করেন জিয়া। রসুলের ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ২৫ বলে ৫১ রান। রূপগঞ্জের বিপক্ষে বুধবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অল্পেই ফর্মে থাকা দুই ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান (১৮) ও ফজলে মাহমুদকে (০) হারায় শেখ জামাল। দুজনই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন সৈকত ও সোহান। দুজন মিলে যোগ করেন ১১১ রান। ইনিংসের মাঝপথ পেরিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি করা সৈকত। এরপর রবিউলের সঙ্গে মিলে দলকে দুইশ পার করান সোহান। ৪ চার ও ২ ছয়ে ৭৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে জাওয়াদ রোয়েনের বলে ক্যাচ আউট হন শেখ জামাল অধিনায়ক।
রবিউলও জাগান ফিফটির সম্ভাবনা। কিন্তু থেমে যান ৮ রান আগেই। ৫০ বলের ইনিংসে ৫টি চার মারেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রূপগঞ্জের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন জিয়া ও রসুল। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে স্রেফ ৩৯ বলে ৭১ রান যোগ করেন দুই অলরাউন্ডার। বড় রান তাড়ায় শুরুতেই চমক দেয় রূপগঞ্জ। পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে নেমে পড়েন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে সুবিধা করতে পারেননি। ৯ বলে স্রেফ ৩ রান করে রসুলের বলে এলবিডব্লিউ হন রূপগঞ্জ অধিনায়ক।
মাশরাফির বিদায়ের পর তিন নম্বরে নামানো হয় সোহাগ গাজীকে। তিনি ঝড় তোলার আভাস দিলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ২টি করে চার-ছয়ে করেন ১৪ বলে ২৩ রান। তৃতীয় উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন পারভেজ ও ইরফান। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করেন পারভেজ। তবে এক প্রান্ত ধরে রাখলেও ইরফান দ্রুত রান তোলার তাগিদ মেটাতে পারেননি।
২ চার ও ৫ ছয়ে ৬৫ বলে ৬৩ রান করে আউট হন পারভেজ। এরপর চিরাগ জানি, তানবীর হায়দার, আশিক উল আলমরা অল্পেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে যায় রূপগঞ্জ। জাওয়াদ ও মুক্তার আলির সঙ্গে মিলে নিজের সেঞ্চুরির কাছাকাছি এগোতে থাকেন ইরফান। ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে ইরফান তিন অঙ্ক ছুঁতেই আলোকস্বল্পতায় ম্যাচ বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা।
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১১১ বলে ১০০ রান করেছেন ইরফান। ১১ চারে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা রসুল বোলিংয়ে নিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।


প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩ | সময়: ৫:২০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ