সিরাজগঞ্জে যমুনার চরে মরিচের বাম্পার ফলন

রুমা ইসলাম, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে যমুনার চরাঞ্চলসহ এবার কাঁচা মরিচ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ চরাঞ্চলে উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ মৌসুমে ১৪৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ হয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে এ লাভজনক মরিচের চাষ বেশি হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২০৫ মেট্রিক টন। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এ মরিচ চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে কৃষকেরা।
যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ মরিচ চাষাবাদ বেশি হয়েছে। চরাঞ্চলের কৃষকেরা বলছেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরবর্তীতে এসব চরাঞ্চলে মরিচের চাষ শুরু করা হয়।
পলিমাটির উর্বরতায় কম খরচে মরিচ চাষাবাদে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফলন ভালো হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে এ মরিচ উত্তোলনে নারী পুরুষেরা ব্যস্ত সময় পার করছে এবং ক্ষেত থেকেই ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি এ মরিচ কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
আর বর্তমানে স্থানীয় হাট-বাজারে এ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় এবং এ কাঁচা মরিচের দাম ওঠা নামা করলেও লোকসান নেই কৃষকের। চরাঞ্চলের হাট দিনগুলোতে কৃষক ও ব্যবসায়ীর অবস্থান জমজমাট। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসিও ফুটে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মরিচ ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মরিচ ব্যবসায় চরাঞ্চলে এসেছি। মরিচের বাজার মূল্য এখন ভালো থাকায় কৃষকের পাশাপাশি আমরাও লাভবান হচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের পরামর্শে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবার ১৪৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদ করা হয়েছে। এ চাষাবাদ চরাঞ্চলে বেশি হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২০৫ মেট্রিক টন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচের বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে। আগামীতে এ লাভজনক চাষাবাদে কৃষকেরা ঝুকে পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৩ | সময়: ৫:১০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ