রাজশাহীতে ভোটের লড়াই জমেনি, ওয়ার্ডে সরব কাউন্সিলর প্রার্থীরা : উন্নয়নের পক্ষে থাকতে চান নগরবাসী

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ভোটের লড়াই এখনো শুরু হয়নি। মেয়র পদে এখন পর্যন্ত তিনজনের নাম দলীয়ভাবে ঘোষণা করা হলেও প্রচরে নামেন নি ইসলামী আন্দোলন ও জাপার প্রার্থী। তবে প্রতিদিন মতবিনিয়ের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
খায়রুজ্জামান লিটন আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ২ জুন থেকে প্রচার নামবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এখন প্রচারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময় করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে লিটনের পক্ষে সোচ্চার রাজশাহীর মাঠে সোচ্চার হয়েছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা প্রতিদিন নগরের পাড়া-মহল্লা ও অলিগলিতে লিটনের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। তাদের প্রচারে মুলত: খায়রুজ্জামান লিটনের গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উন্নয়নের পক্ষে থাকার অঙ্গিকার করছেন বিভিন্ন শেণী ও পেশার মানুষ। ইতিমধ্যে খায়রুজ্জামান লিটন নগরীতে প্রায় সব সেক্টরের মানুষের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে মতবিনিয়ন করেছেন। সুলীল সমাজ, এনজিও প্রতিনিধি, সরকারি বেতরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষক, নাগরিক সমাজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এসব সভা থেকে নাগরিকরা আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের পক্ষে থাকার অঙ্গিকার করছেন। তারা বলছেন, খায়রুজ্জামান লিটন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি রাজধানীতে গিয়ে রাজনীতি করতে পারতেন। তবে শুধু রাজশাহীর উন্নয়নে সচেষ্ট থাকার জন্য এই্ শহরেই মায়ায় থেকে গেছেন। রাজশাহীর যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা লিটনের হাত ধরেই। তাই আগামীতেও লিটনের পক্ষেই আওয়াজ তুলছেন নগরীর সর্বস্তরের মানুষ ও পেশাজীবীরা।
সর্বশেষ খায়রুজ্জামান লিটন রবিবার রাতে রাজশাহীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত ও ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। রাতে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত সভায় এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। উন্নয়নের পক্ষে বিজয় আমাদের হবেই। আমরা যদি ৩০টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে নামতে পারি, আমরা নামব, তাহলে আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না। আমাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, আমরা রাজশাহীর উন্নয়নে স্বার্থে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকেই আবারো নির্বাচিত করবো।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেই দেশে আজ উন্নয়ন দৃশ্যমান। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আগামীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, রাজশাহী থেকে কলকাতা সরাসরি বাস ও ট্রেন চালু, নৌ রুট চালু সহ অনেক কাজ হবে। এসব ক্ষেত্রকে এগিয়ে রেখেছি। নির্বাচিত হলে কোনটা ৬ মাস, আর কোনটা একবছরের মধ্যে চালু হবে।
বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচারের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচন আসলে বিএনপি-জামায়াত জনগণকে বিভ্রান্ত করে। তাদের অপপ্রচারের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে মেয়র পদে রাজশাহীতে লিটন ও আওয়ামী লীগ ব্যস্ত সময় পার কররেও মাঠে দেখা নেই জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনের। এখনো মাঠে নামেন নি ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থীও। তাই নগরবাসী মনে করছেন, এবার শেষ পর্যন্ত রাজশাহী নিসটি নির্বাচনে মেয়র পদে ভোটের লড়াই জমবে না।
তবে কাউন্সিলররা রাজশাহীতে জমাবেন এভার ভোটের মাঠ। ইতিমধ্যে শোডাউন করে তারা নির্বাচন অফিস তেকে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন শুরু করেছেন। পাড়া মহল্লাহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা সরব হয়ে উঠেছেন। তারা এলাকায় প্রচারে নেমেছেন।
রাজশাহী নির্বাচন অফিস জানায়, এখন পর্যন্ত সিটি ভোটে অংশ নিতে মেয়র পদে একজন ও ৩০ টি ওয়ার্ডে কাউন্সির পদে ৭৪ জন ও ১০ টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরত উত্তোলন করেছেন।


প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩ | সময়: ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ