সর্বশেষ সংবাদ :

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা ৪ সিরিজ জিতল ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক: উইকেটে নেই প্রাণের ছোঁয়া। দুই দলের বোলাররাই ব্যর্থ হলেন নিজেদের মেলে ধরতে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাপট দেখালেন ব্যাটসম্যানরা। শেষ দিনেও ঘটল না রোমাঞ্চকর কিছু। অনুমিতভাবে ড্র হলো ভারত-অস্ট্রেলিয়ার আহমেদাবাদ টেস্ট।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ধরে রাখা নিশ্চিত করে ফেলে ভারত। ইন্দোর টেস্টে স্বাগতিকদের হারিয়ে সমতায় সিরিজ শেষ করার আশা জাগায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু চতুর্থ ও শেষ টেস্ট ড্র হওয়ায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিল রোহিত শর্মার দল। এনিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা চারটি টেস্ট সিরিজ জিতল ভারত, সবগুলোই ২-১ ব্যবধানে। যার মধ্যে দুটি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১৮ ও ২০২০ সালে। আর ঘরের মাঠে ২০১৭ সালের পর এবার। অস্ট্রেলিয়া এই সিরিজ সবশেষ জেতে ২০১৪ সালে, ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে উসমান খাওয়াজা ও ক্যামেরন গ্রিনের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৮০ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে শুবমান গিল ও বিরাট কোহলির শতকে ভারত করে ৫৭১। সোমবার দিনের শেষ বেলায় সফরকারীরা তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ২ উইকেটে ১৭৫ রানে। দুই অধিনায়ক ড্র মেনে নিলে ম্যাচের সমাপ্তি হয় সেখানেই। এই দুই দলই লড়বে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের চক্রের ফাইনালে। ওভালে আগামী ৭ জুন শুরু ম্যাচটি। শিরোপার লড়াইয়ে জায়গা করে নিতে ভারতকে ম্যাচটি জিততে হতো। তবে দিনের দ্বিতীয় সেশনেই তারা পেয়ে যায় সুখবর। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা হেরে যাওয়ায় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের ফাইনালে খেলা।
ভারতের উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সিরিজ শুরুর আগে থেকেই। প্রথম তিন টেস্ট তিন দিনে শেষ হওয়ায় পিচ নিয়ে চর্চা হয় অনেক। শেষ ম্যাচে পুরো নিষ্প্রাণ উইকেট বানায় তারা। ম্যাচে তিন ইনিংসও খেলা হয়নি পুরোটা। পাঁচ দিনে উইকেট পড়েছে মোটে ২১টি। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান ট্রাভিস হেড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২ ছক্কা ও ১০ চারে ৯০ রানে থামতে হয় বাঁহাতি এই ওপেনারকে। ৭ চারে ৬৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন মার্নাস লাবুশেন।
৩ রান নিয়ে পঞ্চম দিন খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়া দ্রুত হারায় প্রথম উইকেট। নাইচওয়াচম্যান ম্যাথু কুনেমানকে এলবিডব্লিউ করে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এরপর দলকে এগিয়ে নেন হেড ও লাবুশেন। তাদের ব্যাটে প্রথম সেশনের বাকিটা নিরাপদে কাটিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ১১২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন হেড। দারুণ ব্যাটিংয়ে রান বাড়ানো হেডের সেঞ্চুরি মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু চা বিরতির ৪ ওভার আগে তাকে বোল্ড করে হতাশায় পোড়ান আকসার প্যাটেল।
শেষ সেশনের শুরুতে ১৫০ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন লাবুশেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। ১৮৬ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন কোহলি। সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার হাতে। সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন, জাদেজার শিকার ২২টি। ব্যাট হাতেও কার্যকর ছিলেন তারা। ১ ফিফটিতে ১৩৫ রান জাদেজার, অশ্বিন করেন ৮৬ রান।


প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ | সময়: ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ