সর্বশেষ সংবাদ :

রাবিতে প্রক্টরের জানাযার পর প্রতীকী কফিনে আগুন

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হকের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও নীরব ভুমিকার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদে তাঁর প্রতীকী জানাযা পড়েন তারা। এসময় প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে জানাযার মোনাজাতও ধরেন তারা। পরে প্রক্টরের প্রতীকী কফিনে আগুন জ¦ালিয়ে বিক্ষোভ করেন। রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এই প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে কফিনের বাক্স এনে তাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মারা গেছে লিখেছেন। একপর্যায়ে প্রক্টরের জানাজার জন্য প্রতীকী লাশ বানিয়ে জানাজা পড়তে শুরু করেন তারা। প্রতীকী জানাজা শেষে হাত তুলে মোনাজাত করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। জানাজা শেষে তারা প্রক্টরের প্রতীকি কফিনে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
জানাযার মোনাজাতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী ভাইয়েরা যখন রক্তাক্ত অবস্থায় গড়াগড়ি করছে তখন প্রক্টর আমাদের কাছে না থেকে বাসায় পরিবার নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। আমাদের ছাত্ররা যার হাতে নিরাপদ নয় আমরা তাকে প্রক্টর হিসেবে চাইনা আল্লাহ। এজন্য আমাদের কাছে আজ থেকে প্রক্টর মারা গেছে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এর আগে গত শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থীরা। এতে বেশ কয়েকটি দোকান, মোটর সাইকেল ও একটি পুলিশ ফাঁড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। স্থানীয়দের ইটের আঘাত ও পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে আইসিইউতে নেয়া হয়। পরদিন রবিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করে। এক পর্যায়ে তারা উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারকে অবরুদ্ধ করে। এদিকে পক্ষপাতিত্বমূলক সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে চ্যালেন২৪’র দুই সাংবাদিককে মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেছেন শিক্ষার্থীরা।


প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ | সময়: ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ