সর্বশেষ সংবাদ :

কোহলির স্বস্তির সেঞ্চুরিতে ভারতের লিড

স্পোর্টস ডেস্ক: আগের দিনের পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংসকে আরও এগিয়ে নিলেন বিরাট কোহলি। ব্যাটিং মাস্টারক্লাস মেলে ধরে টেস্ট ক্রিকেটে তিন বছরের অপেক্ষা শেষে উপহার দিলেন চমৎকার সেঞ্চুরি। কার্যকর ফিফটি করলেন আকসার প্যাটেল। তাদের নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিশাল রান টপকে লিড নিল ভারত।
আহমেদাবাদ টেস্টে রোববার স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে করেছে ৫৭১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। এখনও ৮৮ রানে পিছিয়ে আছে তারা। ভারতকে ৯১ রানের লিড এনে দেওয়ার পথে ১৮৬ রান করেন কোহলি। ৩৬৪ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ১৫ চারে। সাদা পোশাকে ৪১ ইনিংস পর তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেলেন তারকা এই ব্যাটসম্যান।
টেস্টে কোহলির আগের সেঞ্চুরি ছিল ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর, বাংলাদেশের বিপক্ষে কলকাতায়। এরপর থেকে কোনো সংস্করণেই শতকের দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি লম্বা একটা সময়। গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই খরা কাটান কোহলি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা তার প্রথম সেঞ্চুরি।
এবার টেস্টে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো কোহলির। এই সংস্করণে করলেন ২৮তম সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার শতক এখন ৭৫টি। কোহলির সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে দেড়শ ছাড়ানো জুটির পথে ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৭৯ রান করেন আকসার। ৪৪ রান আসে শ্রিকর ভারতের ব্যাট থেকে। ৩ উইকেটে ২৮৯ রান নিয়ে খেলতে নামা ভারত দ্রুত হারায় আগের দিনে অপরাজিত রবীন্দ্র জাদেজাকে। টড মার্ফির বলে মিড অনে ধরা পড়েন ২৮ রান করে।
৫৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা কোহলিকে পরে দারুণ সঙ্গ দেন শ্রিকর ভারত। তার ৩ ছক্কা ও ২ চারের ইনিংস থামিয়ে ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন ন্যাথান লায়ন। এক ওভার পরই বহুল কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখেন কোহলি, ১৪১ বলে। সিরিজের প্রথম তিন টেস্টেও তেমন বড় কোনো ইনিংস খেলতে না পারা ব্যাটসম্যানের জন্য যা অনেক বড় স্বস্তির।
আকসারকে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন কোহলি। দুইজনেই প্রায় সমান গতিতে তুলতে থাকেন রান। তাদের ব্যাটে দ্বিতীয় সেশন অনায়াসে পার করে দেয় ভারত। তৃতীয় সেশনের শুরুতে কোহলি-আকসারের জুটি শতরান স্পর্শ করে ১৬১ বলে। কোহলি দেড়শ পা রাখেন ৩১৩ বলে। কিছুক্ষণ পর ক্যারিয়ারের চতুর্থ ও এই সিরিজে নিজের তৃতীয় টেস্ট ফিফটি করেন আকসার, ৯৫ বলে।
জমে যাওয়া ১৬২ রানের জুটি ভাঙে আকসারের বিদায়ে। মিচেল স্টার্কের করা শরীর থেকে দূরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন তিনি। ভারতের ইনিংসে প্রথম ৬ জুটিই পঞ্চাশ পেরিয়েছে। টেস্ট ইতিহাসে এমনটা দেখা গেল তৃতীয়বার। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান ও ১৯৬০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া গড়েছিল এই কীর্তি।
এরপর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে পারেননি কোহলি, শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মার্ফিকে স্লগ-সুইপ করে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়ে। পিঠের নিচের দিকে চোট পাওয়া শ্রেয়াস আইয়ার ব্যাটিংয়ে নামেননি। দিনের শেষ বেলায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাটিংয়ে ট্রাভিস হেডের সঙ্গে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামেন ম্যাথু কুনেমান। দুইজনে নিরাপদে কাটিয়ে দেন বাকিটা সময়।


প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ | সময়: ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ