শুক্রবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: সাদা বলের দুই সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তার মধ্যে টি-টোয়েন্টির ট্রফি জিতেছে গত অক্টোবরে। এরপর এই সংস্করণে প্রথম কোনো সিরিজ খেলতে নামছে ইংলিশরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটি প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। তিন ম্যাচের এই সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাটিতে খেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ছাপ রেখে যেতে চায় জস বাটলারের দল।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগের দিন বুধবার ইংল্যান্ড দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা ক্রিস ওকস এমনটাই বলেছেন। ‘হ্যা, আসলেই রোমাঞ্চিত আমরা। আমরা যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন সেটার ছাপ রেখে যাওয়ার একটা বড় সুযোগ এই সিরিজ। বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে আমরা আর কোনো সিরিজ খেলিনি। তাই আবারও, এই কন্ডিশনে আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এখানে বাংলাদেশের মতো ভালো দলের বিপক্ষে খেলাটা রোমাঞ্চকর।’
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দুই দল এর আগে মুখোমুখি হয়েছে মাত্র একবার। আরব আমিরাতের মাটিতে ২০২১ বিশ্বকাপে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ গো হারা হারে। এই সংস্করণে বরাবরই দুর্বল বাংলাদেশ দল। তবে নিজেদের মাটিতে খেলায় ইংল্যান্ডও সমীহ করছে যথেষ্ট। সফরকারীদের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ এখানকার মন্থর উইকেট। ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও প্রথম ম্যাচ অল্পের জন্য বেঁচে গেছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে কর্তৃত্ব দেখালেও শেষ ম্যাচে চট্টগেম পেরে ওঠেনি।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামীকাল শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। শেষ ওয়ানডের মতো উইকেটই দেখা যাবে। দুপুরে অনুশীলনের জন্য মাঠে এসে শুরু থেকেই উইকেটে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল ইংল্যান্ড। আবারও মন্থর উইকেট হচ্ছে সেটি তাদের কাছে স্পষ্ট। সেই প্রস্তুতি নিয়েই বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে তারা।
‘আমি অনুমান করছি এটা তুলনামূলক আরও মন্থর হবে। খেলা আগেই শুরু হবে, শিশিরের কোন সমস্যা থাকবে না। কাজেই মন্থর থাকবে উইকেট। আমার ধারণা এবং নিশ্চিত স্পিন ধরবে, স্পিনার ও স্লো বোলারদের বল থেমে আসবে। একজন পেস বোলার বা সিম বোলার হিসেবে আপনাকে বৈচিত্র্য ব্যবহার করতে হবে। হ্যাঁ, পিচটা এরকমই।’ ‘আপনি যেমন বলেছেন, বাংলাদেশ এখানে কিছু ভালো দলকে হারিয়েছে, তাই এটা আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় আছি’ –আরও যোগ করেন ওকস।